শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে চালকের গলা কেটে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে যাত্রীবেশে ওই অটোরিকশায় উঠে চালকের গলায় আঘাত করে ও অটোরিকশা নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন তারা। পরে অটোচালকের চিৎকারে বিষয়টি বুঝে পৃথক স্থান থেকে সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করে পুলিশের দেন স্থানীয় জনতা। এরপর বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) তাদের নামে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন- শেরপুর সদর উপজেলার বরাটিয়া গ্রামের লালু মিয়ার ছেলে লিখন (১৮), শাহিন মিয়ার ছেলে মনিরুজ্জামান (১৫), মোবারকের ছেলে শান্ত (১৪) ও নালিতাবাড়ী উপজেলার ডহরিয়াপাড়া গ্রামের রহিদুলের ছেলে তারেক (১৮)।

জানা গেছে, নালিতাবাড়ী শহরের গড়কান্দা মহল্লার অটোচালক সুলতান মিয়া তার নিজের অটোরিকশা নিয়ে বুধবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে আন্ধারুপাড়া থেকে নয়াবিল আসছিলেন। পথে উঁচু ব্রিজ এলাকায় যাত্রীবেশে ওই অটোরিকশায় ওঠেন দুষ্কৃতিকারীরা। এ সময় তারা চাকু দিয়ে অটোচালকের গলায় আঘাত করে ও অটোরিকশা নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু অটোচালকের চিৎকার ও ধস্তাধস্তিতে অটোরিকশা ফেলে দৌড়ে পালান তারা। এরপর স্থানীয়রা আহত সুলতানকে উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। তবে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এদিকে ঘটনার পরপর গড়াকান্দা এলাকায় অটোরিকশায় করে আসা তারেকের গতিবিধি সন্দেহজনক হলে তাকে আটক করে পুলিশে দেন স্থানীয় জনতা। অন্যদিকে উপজেলার বাঘবেড় এলাকায় পাকা সড়কে একটি অটোরিকশা নিয়ে তিনজনকে অপেক্ষা করতে দেখেন স্থানীয়রা। এ সময় ওই তিনজনের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় এবং দুইজনের পায়ে জুতা না থাকায় তাদেরও আটক করে পুলিশে দেন জনতা। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে (২৬ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

নালিতাবাড়ী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার দিদারুল আলম জানান, জড়িতরা নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে গল্প সাজিয়েছিলেন। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সঙ্গে তারাই জড়িত বলে মনে হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আদালতে ওই চারজনের পাঁচদিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মো. নাইমুর রহমান তালুকদার/এফআরএস