মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় ধলেশ্বরী নদীতে সাঁতার শিখতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া মেয়েকে উদ্ধার করতে গিয়ে বাবাও নিখোঁজ হন। এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পর তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাবা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধারের পর পরিবারে চলছে শোকের মাতম।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের কৃষ্টপুর গ্রামে ধলেশ্বরী নদীর খেয়া ঘাট থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন-বাবা ব্যবসায়ী মো. মহিদুর রহমান (৫০) ও মেয়ে রাফসা (১২)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিংগাইর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. ইস্তিয়াক আহমেদ জানান, বুধবার ধলেশ্বরী নদীতে মেয়ে সাঁতার শিখতে গিয়ে পানিতে তলিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে নিখোঁজ মেয়েকে উদ্ধার করতে গিয়ে বাবাও নিখোঁজ হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দলের সদস্যরা গতকাল সারাদিন উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেও তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। উদ্ধার অভিযানে স্থানীয়রাও সহযোগীতা করেন।

তিনি জানান, আজ সকালের দিকে নিখোঁজ হওয়া স্থানের বিপরীত পাশে বড় বরশি দিয়ে নদীর দুপাশে টানার এক পর্যায়ে বাবা ও মেয়েকে শনাক্ত করা হয়। পরে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়। 

উল্লেখ্য, বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ব্যবসায়ী মহিদুর রহমান তার ১২ বছরের মেয়েকে সাঁতার শেখাতে বাড়ির পাশে ধলেশ্বরী নদীতে যান। এ সময় পেটে দুটি বোতল বেঁধে মেয়েকে নদীতে ছেড়ে দেন তিনি। এর কিছু সময় পর বোতলের মুখ খুলে পানি ঢুকলে মেয়ে রাফসা নদীর পানিতে তলিয়ে যায়। এরপর নিখোঁজ মেয়েকে উদ্ধার করতে গিয়ে বাবা মহিদুরও নিখোঁজ হন।

সোহেল হোসেন/জেডএস