ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ‍্যা। এই অবস্থায় ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা সেবায় চালু করা হয়েছে স্বতন্ত্র ওয়ার্ড। বতর্মানে ওই ওয়ার্ডে ৩২ জন রোগীর চিকিৎসা চলছে।      

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মমেক হাসপাতালে চিকিৎসক ও ডেঙ্গু ওয়ার্ডের ফোকালপার্সন ডা. মহিউদ্দিন খান মুন এই তথ‍্য নিশ্চিত করেছেন।  

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাসপাতালের ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন‍্য স্বতন্ত্র ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। ওই ওয়ার্ডে বতর্মানে ৩২ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ‍‍্যে ২৬ জন পুরুষ, ৪ জন মহিলা ও ২ জন শিশু রয়েছে। 

ডা. মহিউদ্দিন খান আরও বলেন, চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা ময়মনসিংহের বাসিন্দা হলেও তারা কাজের সূত্রে ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত রোগীও আছে কিন্তু ঢাকা থেকে আগত রোগীর সংখ‍্যাই বেশি।  

হাসপাতালের অপর একটি সূত্র জানায়, চলতি মাসে রোগীর পরিমাণ বাড়তে শুরু করেছে। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভর্তি হয় ২৯ জন। এরপর ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভর্তি হয় ৪৯ জন। পরে সপ্তাহে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে ভর্তি হয় ৮৭ জন। 

ডেঙ্গু রোগীর চাপ বাড়লেও তাদের চিকিৎসা সেবায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, চলতি মাসে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে হাসপাতালের ডেঙ্গু রোগীদের জন‍্য স্বতন্ত্র একটি ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। পর্যাপ্ত সংখ‍্যক চিকিৎসক সেখানে কাজ করছে। 

তবে ময়মনসিংহ নগরীতে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি এবং ডেঙ্গু চোখ রাঙালেও এখনো কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেই সিটি কর্পোরেশনের। এমন অভিযোগ নগরীর বাসিন্দাদের। 

সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, চলমান মশক নিধন কার্যক্রমের পাশাপাশি ডেঙ্গু মোকাবিলায় শিগগিরই চালু করা হবে ক্র‍্যাশ প্রোগ্রাম। আশা করি গতবারের মতো এবারও ডেঙ্গু মোকাবিলা করতে আমরা সক্ষম হব। 

প্রসঙ্গত, গত বছর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ৩ হাজার ৭২০ জন ডেঙ্গু রোগী। এর মধ‍্যে মৃত্যু হয় ১৩ জনের।

আমান উল্লাহ আকন্দ/আরকে