আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জেরে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার জানিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মজিবর রহমানের (৪৫) ওপর হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় তাকে কুপিয়ে জখম এবং হাত-পা ভেঙে ফেলা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ইউনিয়নের শেখপাড়া বিহারীয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খোকসা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আননুর যায়েদ।

আহত মজিবর রহমান জানিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

আহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমান দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। ২০১২ সাল থেকে শামীম মণ্ডল নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বিরোধ চলে আসছে। শামীম যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। সামাজিক এই দ্বন্দ্বে এর আগেও কয়েকবার মারামারি হয়েছে। এরই জের ধরে আজ সকালে খামারে যাওয়ার জন্য মজিবর রহমান বাড়ি থেকে বের হলে রাস্তায় মোটরসাইকেল থামাতে বলেন শামীম। এ সময় শামীমের নেতৃত্বে তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। হামলাকারীরা তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে চলে যায়। তার চিৎকারে স্থানীয়রা এসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।

আহত চেয়ারম্যানের ভাই শহিদুল রহমান বলেন, প্রতিপক্ষের শামীম আমার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে আহত করেছে। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এক হাত ও এক পা ভেঙে দিয়েছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়া হবে। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত শামীম মণ্ডলের মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

খোকসা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আননুর যায়েদ বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমানের ওপর প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন হামলা চালিয়েছে। তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজু আহমেদ/এমজেইউ