পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান খন্দকার

পাবনার ঈশ্বরদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ঈশ্বরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরের রিমান্ডের বিরোধিতা করে আদালতে শুনানি করেছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান খন্দকার। এ নিয়ে জেলাব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

ঈশ্বরদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করার অভিযোগে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক ও আওয়ামী লীগ নেতা ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইউসুফ আলী খানকে গ্রেপ্তার করে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ। পরদিন মঙ্গলবার পাবনার আমলী-২ আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। রিমান্ডের বিরোধিতা করে আদালতে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মুকুল বিশ্বাস এবং জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান খন্দকার। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মোস্তাফিজুর রহমান তাদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মো. ইউসুফ আলী এবং পাবনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন শাহিন।

স্বৈরাচারের দোসর ও ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণকারীর পক্ষে মাসুদ খন্দকারের শুনানির বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। কেউ কেউ বিএনপি থেকে তার বহিষ্কার দাবি করেন।

সমালোচকদের বক্তব্য, এটি নৈতিকতার প্রশ্ন। দীর্ঘদিন ধরে যে আদর্শ নিয়ে আপনি শীর্ষ পদে থেকে ফ্যাসিবাদের সঙ্গে লড়াই করলেন, ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করলেন। এখন ফ্যাসিবাদের পক্ষে আদালতে লড়াই করছেন কী করে? এটা তো এক ধরনের তামাশা।

পাবনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন শাহিন বলেন, ‘বিষয়টি শতভাগ সত্য। এখনো রাস্তায় স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতার রক্তের দাগ শুকায়নি। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হয়ে এরকম একটা মামলায় আইনি সহায়তা দেওয়া নীতি-বিবর্জিত মানসিকতা বলে মনে করি।’

বিষয়টি অস্বীকার করে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান খন্দকার বলেন, ‘এটা ভিত্তিহীন অভিযোগ। এর কোনো প্রমাণ নেই। এখন যারা আমার ভালো চায় না তারা এবং একটি চক্র দলের মধ্যে এবং দলের বাইরে যারা অন্যের ভালো চায় না তারা এগুলো বলছে।’

এ বিষয়ে নিউজ না করতে নিষেধ করে পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘এটা মিথ্যা কথা। আমি তার সঙ্গে কথা বলেছি। সে বলেছে এটা মিথ্যা কথা। এখন যারা এসব নিয়ে ফেসবুকে লিখছে তাদের বিরুদ্ধেই আমরা ব্যবস্থা নেব।’

রাকিব হাসনাত/এমজেইউ