সমাজে সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে ইমামদেরকে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) কেএমপি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে খুলনা মহানগর ইমাম পরিষদ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। 

সভায় দেশের সাম্প্রতিক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এ ধরনের অপতৎপরতা রোধে খুলনা মহানগরী এলাকায় যার যার জায়গা থেকে ইতিবাচক ভূমিকা পালনের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।  

সভায় বলা হয়, ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করার ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ একটি রোল মডেল। প্রতিবেশী হিসেবে যেমন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান বসবাস করে, তেমনি মসজিদের পাশে গড়ে উঠা অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তারা নিজ নিজ ধর্ম পালন করে থাকে। তারপরও কিছু কুচক্রী মহল উসকানি দিয়ে গুজব রটিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা চালায়। যা সমাজে অশান্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে কেএমপি কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, এদেশে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করার ইতিহাস শত বছরের। কিন্তু কিছু কুচক্রী মহল বিদ্যমান এই শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে বিঘ্নিত করতে চায়। আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে ষড়যন্ত্র হতে পারে। এজন্য সকল নাগরিকের সচেতন থাকা প্রয়োজন। মসজিদের ইমামগণ এমন মানুষ যাদের কথা ও কাজ মুসল্লিরা অনুসরণ করতে ভালোবাসে। এই প্রেক্ষাপটে দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে যাতে সমাজে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকে সে ব্যাপারে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য ইমামদের প্রতি আহ্বান জানাই। 

ইমাম পরিষদ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ উন্মুক্ত আলোচনায় তাদের বক্তব্যে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে খুলনা মহানগরী এলাকায় সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

সভায় খুলনা জেলা ইমাম পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এএফএম নাজমুস সউদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপার ভাইজার মো. আবুল কাশেমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং খুলনা মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

মোহাম্মদ মিলন/আরএআর