তিন দিনের থমথমে পরিস্থিতি কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে পার্বত্য জেলা রাঙামাটি। গতকাল ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের পর কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও খুলেছে। গতকাল রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সম্প্রীতি সমাবেশ এবং সন্ধ্যায় পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের পর থেকে শহরে কিছুটা স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। 

এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর দু’পক্ষের সংঘর্ষের পর বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার ডাকে ৭২ ঘণ্টার অবরোধের আজ ৩য় দিন চলছে। তবে প্রথম দুই দিনের তুলনায় আজ সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাঙামাটি শহরে যান চলাচল বেড়েছে। গত রাতে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের পর আজ সকাল থেকে পরিবহন শ্রমিকরা গাড়ি নিয়ে সড়কে বের হয়, একই সঙ্গে চলছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা। চিরচেনা রাঙামাটি স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে। 

পাশাপাশি রাঙামাটি-চট্টগ্রাম রুটে যান চলাচল শুরু হয়েছে। তবে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি-বান্দরবান রুটে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলও। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, গত শুক্রবারের অনাকাঙ্ক্ষিত সংঘাতের রেশ ধীরে ধীরে মানুষের মন থেকে কাটতে শুরু করেছে। সবাইকে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফেরানোর জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে ধর্মঘট প্রত্যাহার হয়েছে, যান চলাচলও স্বাভাবিক হয়েছে। শহরের ৫টি স্থানে সম্প্রীতি সমাবেশ করা হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে অবরোধের কারণে মেঘের রাজ্য খ্যাত সাজেক ভ্যালিতে বেড়াতে গিয়ে তিনদিন ধরে আটকা রয়েছেন প্রায় দেড় হাজার পর্যটক। সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেব বর্মণ জানিয়েছেন, অবরোধে আটকা পড়েছেন পর্যটকরা। যেহেতু তারা আটকা পড়েছেন তাই তাদের থেকে শুধুমাত্র পানি ও বিদ্যুতের খরচটুকু নেওয়া হচ্ছে। অবরোধ শেষ হলে তারা ফিরতে পারবেন।

মিশু মল্লিক/আরকে