বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোনো একক ব্যক্তির মাস্টারমাইন্ডে হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, এই আন্দোলনে ছাত্রশিবির তার একক কোনো কৃতিত্ব ও অবদান কখনো দাবি করেনি, করবেও না। আমরা মনে করি, এই আন্দোলন সবার। এই আন্দোলনে অসংখ্য মাস্টারমাইন্ড রয়েছেন। অসংখ্য শহীদ রয়েছেন। সবাই মিলে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্মের মধ্যে দিয়ে এই সমাজ থেকে ফ্যাসিজমের উৎখাতের নবসূচনা সৃষ্টি করেছি।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজার শহরের বেঙ্গল কনভেনশন হলে মৌলভীবাজার শহর, জেলা ও হবিগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত সাথী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ছাত্রশিবির সেক্রেটারি বলেন, এই স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আমরা যখন শামিল হয়েছিলাম, আমাদের কি কোনো দলীয় পরিচয় ছিল। সেদিন আমাদের কোনো ব্যক্তির পরিচয় ছিল না। সেদিন আমাদের মত-ধর্ম-বর্ণের কোনো পরিচয় ছিল না। অন্য ধর্মের কেউ আহত হলে সবাই হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছেন, এরকম অসংখ্য নজির রয়েছে।

জাহিদুল ইসলাম বলেন, এই আন্দোলনের যে বৃক্ষ আজকে দাঁড়িয়েছে, এই বৃক্ষ থেকে কি ফলাফল চান। শহিদ পরিবারকে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলবেন, এই সমাজে কোনো অন্যায় চাই না, কোনো জুলুম চাই না। একক কোনো কর্তৃত্ব নয় বরং যিনি দায়িত্বশীল হবেন, তিনি এই সমাজকে, এই রাষ্ট্রকে পরিচালনা করবেন। তার মধ্যে জনগণের কাছে যেভাবে জবাবদিহিতা করতে হবে পাশাপাশি আল্লাহ তায়ালার কাছেও সেই জবাবদিহিতার অনুভূতি থাকতে হবে। আমরা এমন একটা সমাজ, রাষ্ট্র এবং এই আন্দোলন থেকে এমন ফলাফলই চাই। 

তিনি আরও বলেন, আমরা জানি, সেদিন মিছিলে যাওয়া মানে গুলিবিদ্ধ হওয়া। কিন্তু এরপরেও সবকিছুকে তুচ্ছ করে, জীবনকে তুচ্ছ করে কেন দাঁড়িয়ে ছিলেন এই জালিমের বিরুদ্ধে আপনারা। সেটা কি আবারও জালিমের এই জুলুমতন্ত্র কন্টিনিউ থাকবে। ফ্যাসিবাদ কি আবার এইখান থেকে জন্ম নেবে। না, সেটা আমরা হতে দেব না, ইনশাআল্লাহ। এই জন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ চেতনা ৫ তারিখ পর্যন্ত ছিল। সেই একই চেতনাকে কন্টিনিউ করে সামনের বাংলাদেশ পরিচালনা করতে হবে। এর জন্য যদি কোনো বাঁধা-বিপত্তি আসে, যদি কেউ বাড়াবাড়ি করতে আসে তাহলে ৫ তারিখ পর্যন্ত আমাদের যেই শাহাদাতের তামান্না ছিল, সেই একই তামান্নাকে লালন করে হলেও আমরা এই আন্দোলনকে জারি রাখবো ইনশাআল্লাহ।

মৌলভীবাজার শহর সভাপতি তারেক আজীজের সভাপতিত্বে ও জেলা সভাপতি হাফেজ আলম হোসাইনের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় বায়তুলমাল সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম মিসবাহ, মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের আমির ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলী, হবিগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি কাজী মহসিন আহমেদ প্রমুখ।

এএমকে