জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সাবেক শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামি মাহমুদুল হাসান রায়হানকে গ্রেপ্তার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানা পুলিশের হোতাপাড়া এলাকায় ফুফুর বাড়ি থেকে ওই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত মাহমুদুল হাসান রায়হান গাজীপুরের দক্ষিণ সালনা এলাকার বাসিন্দা। তিনি জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শেখ রাসেল হলে থাকতেন।

ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই শিক্ষার্থীকে গাজীপুরে তার ফুফুর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে শামীম হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামি। তাকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ হবে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

জানা যায়, বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ফটকসংলগ্ন একটি দোকানে অবস্থান করছিলেন শামীম। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী সেখানে গিয়ে তাকে গণধোলাই দেন। ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম উপস্থিত হয়। একপর্যায়ে নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা তাকে আবারও গণধোলাই দেন। পরে তাকে আহত অবস্থায় আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এরপর পুলিশ চিকিৎসার জন্য সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শামীমের মৃত্যু হয়।

শামীম হত্যার ঘটনায় ১ সেপ্টেম্বর রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপুটি রেজিস্টার (নিরাপত্তা) সুদীপ্ত শাহিন বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৮ জন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করে ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মূলত এরপর থেকেই এজাহারভুক্ত আসামিরা পলাতক রয়েছেন।

লোটন আচার্য্য/আরকে