টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পানির চাপে কলারোয়া বেত্রাবতী নদীতে নির্মিত বিকল্প সেতুটি ভেঙে পড়েছে। এতে ছয়টি ইউনিয়নের দেড় লক্ষাধিক মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ফলে কলারোয়া সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ইউনিয়ন গুলোর।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় কলারোয়া বাজার এলাকায় বেত্রাবতী নদীর ওপরের সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৪৮ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্থের সেতুটি নির্মাণের জন্য ব্যয় ধরা হয় ৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। 

কাজটি পায় মোজাহার এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২১ সালের ১৪ এপ্রিল সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কাজটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর। সময় শেষ হওয়ার পরও কাজ শেষ হয়নি।

সরেজমিনে দেখা যায়, কলারোয়া পশুহাট মোড়ে অবস্থিত বেত্রাবতী নদীর উপর লোহার বেইলি ভেঙে পড়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা পরিষদ, থানা, স্কুল-কলেজ, কলারোয়া পৌরসভাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান নদীর এ পাড়ে হওয়ায় ছয়টি ইউনিয়নের মানুষ সদরে যেতে পারছেন না। ফলে পথচারী ও বিভিন্ন যানবাহনে যাতায়াতকারীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

জালালবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা মোখলেসুর রহমান বলেন, ব্রিজ ভাঙার ফলে ছয়টি ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এটা দ্রুত সংস্কার করা হোক। না হলে এই ছয়টি ইউনিয়নের মানুষের সঙ্গে টোটাল কলারোয়ার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সবকিছু বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। 

তিনি বলেন, ওই পাড়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যদি কোনও গর্ভবতী নারী বা ইমার্জেন্সি রোগীর অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসে পাড় হতে পারবেন না। 

গোপীনাথপুর গ্রামের মোহাম্মদ ইমাম হোসেন বলেন, বেলা দশটার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। কলারোয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ৬টি ইউনিয়নের মানুষ এই ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করে। 

জালালাবাদ গ্রামের মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই। 

কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম জানান, আমরা যত দ্রুত সম্ভব চেষ্টা করছি। আমি এলজিইডির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে। 

সাতক্ষীরা সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার পারভেজ জানান, ভেঙে পড়া সেতুটি দেখতে যান তিনি। সেখানে নতুন করে বেইলি সেতু করতে হবে। আশা করছি দ্রুত কাজ শুরু হবে।

ইব্রাহিম খলিল/এমএসএ