টাঙ্গাইলে বেসরকা‌রি সংস্থা (এনজিও) সোস‌্যাল অ্যাডভান্স‌মেন্ট থ্রু ইউনি‌টির (সেতু) এক‌টি শাখার হিসাবরক্ষণ অফিসার হাসান‌কে আট‌কে রাখার চার দিন পর মর‌দেহ উদ্ধার ক‌রে‌ছে পু‌লিশ। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে পুলিশ তার মর‌দেহ উদ্ধার করে। প‌রিবা‌রের দাবি তা‌কে আট‌কে রে‌খে নির্যাতন ক‌রে হত‌্যা করা হ‌য়েছে।

হিসাবরক্ষক হাসান সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার পুঠিয়া এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে। তিনি সেতুর জামালপুর শাখায় হিসাবরক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন।

জানা গে‌ছে, সেতু এন‌জিও জামালপুর শাখার হিসাবরক্ষণ অফিসার হাসা‌নের বিরু‌দ্ধে প্রায় ৪০ লাখ টাকার আত্মসা‌তের অভি‌যোগ ক‌রে এন‌জিও কর্তৃপক্ষ। সেই টাকা নেওয়ার জন‌্য তাকে গত সোমবার (১৬ সে‌প্টেম্বর) জামালপুর থে‌কে টাঙ্গাইল শহ‌রের থানাপাড়ার সেতুর মেইন কার্যাল‌য়ে আনা হয়। এরপর ১৮ সে‌প্টেম্বর তার প‌রিবার‌কে খবর দেয় কর্তৃপক্ষ। খবর পে‌য়ে তার প‌রিবার টাঙ্গাইলে সেতুর কার্যাল‌য়ে আস‌লেও হাসা‌নের সঙ্গে দেখা কর‌তে দেওয়া হয়‌নি। এরপর শুক্রবার দিবাগত রা‌তে কর্তৃপক্ষ জানায় হাসান অসুস্থ হ‌য়ে মারা গে‌ছেন।

এই ঘটনার পর ওইদিন রা‌তেই হাসা‌নের মর‌দেহ উদ্ধার ক‌রে পু‌লিশ। প‌রে শ‌নিবার টাঙ্গাইল সদর থানার পু‌লিশ সেতু এন‌জিওর কার্যাল‌য় প‌রিদর্শন ক‌রে আট‌কে রাখার বিষয়‌টি সত‌্যতা পায়।

নিহত এন‌জিও কর্মী হাসা‌নের বোনজামাই শাহআলম বলেন, জামালপুর থে‌কে চার‌ দিন আগে তা‌কে ধ‌রে এনে আটকে রাখা হয়। এ সময় টাকার জন‌্য তাকে নির্যাতন করার কার‌ণে তার মৃত‌্যু হয়। প‌রিক‌ল্পিতভা‌বে তা‌কে হত‌্যা ক‌রা হ‌য়ে‌ছে। তার সঙ্গে এন‌জিওর হিসাব নি‌য়ে গড়‌মিল ছিল। কিন্তু তা‌কে এভা‌বে হত‌্যা কর‌ল।

নিহ‌তের মা সু‌ফিয়া খাতুন বলেন, ‘পোলাডারে আট‌কে রে‌খে মে‌রে ফে‌লছে তারা। ক‌য়েক‌দিন আগে অফিসে আস‌ছিলাম কিন্তু পোলার সঙ্গে দেখা কর‌তে দেয়‌নি। জী‌বিত থাক‌তে ছে‌লে‌কে দেখ‌তে পেলাম না।’

এ বিষ‌য়ে যোগা‌যোগ করা হ‌লে সোস‌্যাল অ্যাডভান্স‌মেন্ট থ্রু ইউনি‌টির (সেতু) কর্তৃপ‌ক্ষের কেউ কোনো বক্তব‌্য দেননি।

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীর আহ‌মেদ ব‌লেন, এন‌জিও কর্মী হাসান‌কে ক‌য়েক‌দিন আগে ক্লোজ ক‌রে সেতুর মেইন কার্যালয়ে নি‌য়ে আসা হয়। এভা‌বে কাউকে আটকে রাখা বেআইনি। আট‌কের ক‌য়েক‌দিন পর মর‌দেহ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় নিহ‌তের প‌রিবার অভিযোগ দি‌লে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হ‌বে।

অভি‌জিৎ ঘোষ/এএমকে