আমরা ছাত্র আন্দোলনে যারা রাজপথে ছিলাম, তারা ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ দেশকে আমরা পুনরায় স্বাধীন করেছি। এই স্বাধীন দেশের সম্মান আমরা সবাই রক্ষা করার চেষ্টা করব। সমন্বয়কের পরিচয়ে কেউ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করলে, সে যত বড় সমন্বয়কই হোক না কেন, তাকে এ দেশের জনগণ ধরে বেঁধে ফেলবেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন।

ঢাবি ও জাবিতে সংঘটিত মব জাস্টিস এবং নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ‘ব্রিং ব্যাক জাস্টিস’ কর্মসূচিতে দাঁড়িয়ে এসব কথা  বলেন যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের শিক্ষার্থী নূর ইসলাম। যশোর প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। 

কর্মসূচিতে আরেক শিক্ষার্থী মৌসুমী খাতুন বলেন, আমাদের এক ভাই ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। আমরা জানি যে সে একজন মানসিক রোগী। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের একজন জালাল, সে ছাত্রলীগের উপ-সম্পাদক বলে আমরা জানতে পেরেছি। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়লেও তার দোসররা কিন্তু দেশ ছাড়েনি এবং এই ছাত্রলীগের নেতারা ছাত্র সমাজকে কলঙ্কিত করার উদ্দেশ্যে নানা রকম ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আমরা চাই কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো দলের রাজনৈতিক শাখা থাকবে না। এ হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের দ্রুত বিচার করা হোক।  

কর্মসূচিতে ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন, নবীন ইসলাম,সাকিব হোসেন, সাদিক বিল্লাহ, কিরণ আহমেদ সহ প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী। 

এ্যান্টনি দাস অপু/এনএফ