সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯তম ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্যাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে। এতে আটজনের নাম উল্লেখ্য করে ও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) কামাল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপুটি রেজিস্টার (নিরাপত্তা) সুদীপ্ত শাহিন বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন।

নিহত শামীম সাভারের আশুলিয়া থানার কাঠগড়া এলাকার মোল্ল্যা বাড়ির ইয়াজ উদ্দিন মোল্যার ছেলে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের (৩৯ ব্যাচ) ইতিহাস বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

মামলার আসামিরা হলেন- ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের (৪৯ ব্যাচ) মো. আতিকুজ্জামান আতিক (২১), সরকার ও রাজনীতি বিভাগের (৪৫ ব্যাচ) রাজু আহাম্মদ (২৫), জাবির বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের (৪৯ ব্যাচ) শিক্ষার্থী মো. আহসান লাবীব (২৪), ইংরেজি বিভাগের (৫০ ব্যাচ) মাহমুদুল হাসান রায়হান (২০), ইতিহাস বিভাগের (৪৪ ব্যাচ) জুবায়ের আহমেদ (২৪), ইংরেজি বিভাগের (৪৯ ব্যাচ) হামিদুল্যাহ সালমান (২১), সিএসই বিভাগের (৪৭ ব্যাচ) সোহাগ মিয়া (২৩) এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের (৪৬ ব্যাচ) মোহাম্মদ রাজন মিয়া (২৫)। এছাড়াও মামলায় ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) কামাল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সুদীপ্ত শাহিন নামে এক ব্যক্তি মামলা করেছেন। ওই মামলায় আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ এখনো আটক হয়নি বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ফটক সংলগ্ন একটি দোকানে অবস্থান করছিলেন শামীম। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী সেখানে গিয়ে তাকে গণধোলাই দেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। একপর্যায়ে নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখায় নিয়ে আসা হয়। সেখানেও উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা তাকে আবারও গণধোলাই দেন। পরে তাকে আহত অবস্থায় আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এরপর পুলিশ চিকিৎসার জন্য তাকে সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শামীমের মৃত্যু হয়।

লোটন আচার্য্য/এফআরএস