খুলনার বেসরকারি শ্রমিকদের বকেয়া মজুরিসহ বিভিন্ন পাওনা পরিশোধের দাবিতে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শ্রমিক নেতা সাইফুল্লাহ তারেকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মালামাল লুটের মামলা করেছে মহসেন জুট মিল কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বন্ধ থাকা মহসেন জুট মিলের নির্বাহী পরিচালক তাওহীদ উল ইসলাম বাদি হয়ে খুলনা মহানগর হাকিমের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

আদালতের বিচারক মো. আল আমিন বাদীর অভিযোগ গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মোমিনুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পিবিআইকে আগামী ২৮ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্যদের বিরুদ্ধে এলাকায় বিভিন্ন বিতর্কিত কাজের অভিযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, মামলার প্রধান আসামি সাইফুল্লাহ তারেক বেসরকারি পাট সুতা বস্ত্রকল শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক। মালিকপক্ষের অনিয়ম, শ্রমিক ঠকানোর প্রতিবাদে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন তিনি।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, গত ৬ আগস্ট আসামিরা সীমানা প্রাচীর ভেঙে মিলের ভেতরে প্রবেশ করে বিভিন্ন জিনিস লুটপাট করে ট্রাক ভরে নিয়ে পালিয়ে যায়। মিলে দুই কোটি ৩৬ লাখ টাকা মূল্যের মালামাল লুট এবং ভাংচুরে এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

বেসরকারি পাট সুতা বস্ত্রকল শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক খান গোলাম রসুল বলেন, মিল বন্ধের পর বেশিরভাগ মালামাল মালিকপক্ষই নিয়ে গেছে। যেগুলো লুটের কথা বলেছে, ওই সব জিনিস মিলে আদৌ ছিল না।

তিনি বলেন, ৫/৬ আগস্ট মিলের ভেতরে ভাংচুর-লুটপাট হওয়ার কথা আমরাও শুনেছি। তার সঙ্গে সাইফুল্লাহ তারেক জড়িত থাকার প্রশ্নই ওঠে না। শ্রমিকদের পাওনা যাতে পরিশোধ করতে না হয়, সেজন্য মালিকপক্ষ মিথ্যা নাটক সাজাচ্ছে। এতে কাজ হবে না।

তবে মিলের নির্বাহী পরিচালক তাওহীদ উল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে যারা উপস্থিত ছিল তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মোহাম্মদ মিলন/এমজে