দুই পক্ষের বিরোধের জেরে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার লারমা স্কয়ার এলাকায় বাজারে আগুন দেওয়া হয়েছে। এতে অর্ধশতাধিক দোকান পুড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। 

স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার খাগড়াছড়িতে মো. মামুন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে দীঘিনালা কলেজ এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ বের করেন। বিক্ষোভটি লারমা স্কয়ার অতিক্রম করার সময় কিছু পাহাড়ি শিক্ষার্থীর সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দও শোনা যায়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে উত্তেজনা বিরাজ করে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

পরে বিকেলে একদল উত্তেজিত লোক লারমা স্কয়ার এলাকার বাজারে আগুন দেয়। এতে ৫০টির বেশি দোকান পুড়ে গেছে। বর্তমানে এ ঘটনায় দীঘিনালায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।

দীঘিনালা থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল হক জানান, দুর্বৃত্তরা বাজারে আগুন দিয়েছে। আগুন নেভানোর কাজ চলছে।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, দীঘিনালা ও খাগড়াছড়ি সদরে সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে সমন্বিত টহল জোরদার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার ভোরে খাগড়াছড়ি সদরে চুরির অভিযোগে মো. মামুন (৩০) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। বাঙালি সংগঠনগুলোর দাবি, একটি আঞ্চলিক দলের সদস্যরা তাকে হত্যা করেছে।

মোহাম্মদ শাহজাহান/আরএআর