বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শেখ হাসিনার কোনো ক্ষমা নেই। সে জাতিকে ধ্বংস করেছে। সুতরাং জবাব তাকে দিতে হবে। যে অপরাধগুলো তৈরি করেছে, সে অপরাধগুলোকে বলা হয় মানবতাবিরোধী অপরাধ। এ মানবতাবিরোধী অপরাধে তার বিচার হবে। হাসিনাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজ মাঠে  উপজেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার চলে গেছে। যাওয়ার আগে বাংলাদেশকে একেবারে ফোকলা করে দিয়ে গেছে। সব শেষ, টাকা-পয়সা সব চুরি করে নিয়ে গেছে। রিজার্ভ ও ব্যাংকের টাকা চুরি করেছে। এমনকি ব্যাংক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সামনে দুর্গাপূজা, সনাতন ধর্মের মানুষের বড় উৎসব। এ উৎসবের সময় মণ্ডপগুলো পাহারা দিতে হবে। সনাতন ধর্মের মানুষজন যেন নির্বিঘ্নে তাদের পূজা পালন করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যারা আমরা ধর্মপ্রাণ মুসলমান আছি, দাড়ি রাখি, টুপি পরি, সুন্নত পালন করি এটাও তারা (আওয়ামী লীগ) সহ্য করে নাই। অনেক আলেম-ওলামাকে তারা ফাঁসি পর্যন্ত দিয়েছে। মসজিদে যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে যায় তাদেরকেও তারা নজরদারিতে রেখেছিল। নামাজ পড়া ব্যক্তিরা নাকি জঙ্গি। এমনকি মাদ্রাসায় পড়লে সেও নাকি জঙ্গি। এভাবে আওয়ামী লীগ আমাদের ধর্মীয় যে বোধ রয়েছে সেই বোধকে ক্ষতি করার চেষ্টা করছিল।

তিনি আরও বলেন, এখন আমরা স্বাধীন হয়েছি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অল্প দিনের জন্য সরকার হয়েছে। তারা আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখবে এবং নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করে সবার অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন উপহার দেবেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, কিছু ছাত্র শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ করতে বাধ্য করিয়েছে, এটা ছাত্রদের কাজ না। মূলত আমরা স্বাধীন হয়েছি, স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে।  

উপজেলা বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য জেড মূর্তজা চৌধুরী তুলা, ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ প্রমুখ।

আরিফ হাসান/আরএআর