পটুয়াখালীতে মো. শহিদুল ইসলাম নামের এক যুবককে হত্যার দায়ে ১৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ এ কে এম এনামুল করিম এই রায় দেন। রায় ঘোষণার পরপরই আসামিদের স্বজনরা আদালত প্রাঙ্গণে চিৎকার করে এ রায়ের বিরোধিতা করেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত মামলার প্রধান আসামি সোহরাব সিকদার (৫০) পটুয়াখালী সদর উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের মিঠাপুর গ্রামের বাসিন্দা আলী আকবর সিকদারের ছেলে। বাকি দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সোহরাব সিকদারের ছেলে আ. রহমান সিকদার (৩০), মুছা সিকদার (২৫), আবু বক্কর সিকদার (২০) ও মো. হানিফ সিকদার (১৮), মৃত কাদের সিকদারের ছেলে মো. ছত্তার সিকদার (৫৫) ও সেলিম সিকদার (৩৭), মোস্তফা সিকদারের ছেলে আমিরুল সিকদার (২০), ইউসুফ সিকদারের ছেলে রাসেল সিকদার (১৮), ছত্তার সিকদারের ছেলে জাকির সিকদার (৩০), মৃত মফেজ সিকদারের ছেলে জালাল সিকদার (৩০), রুস্তুম সিকদারের ছেলে জাকির হোসেন (৩০), মৃত হাসেম সিকদারের ছেলে মামুন সিকদার (৩০), আলী আকবর সিকদারের ছেলে ইউসুফ সিকদার (৪২), লালু সিকদারের ছেলে সানু সিকদার (৪০) এবং মৃত চেরাগ আলী মৃধার ছেলে সামসু মৃধা (৫৫)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী বিরোধের জেরে ২০১১ সালের ৪ এপ্রিল পটুয়াখালী সদর উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের মিঠাপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে খুন হন যুবক মো. শহিদুল ইসলাম। পরদিন নিহতের বাবা নুর মোহাম্মদ মৃধা বাদী হয়ে মো. সোহরাব সিকদারকে প্রধান আসামি করে ২০ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ১৫/২০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার বাদী ও আসামিরা সবাই একই গ্রামের বাসিন্দা। পরে পুলিশ ১৭ জনকে আসামি করে ৩০২ ধারায় মামলার অভিযোগ জমা দেয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও অতিরিক্ত পিপি মো. হারুন অর রশিদ মামলার বরাত দিয়ে জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, এমও এবং এজাহারকারীসহ ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। আজ প্রকাশ্য আদালত ১৭ আসামির মধ্যে শহীদুল ইসলাম মৃধার (৩২) অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন এবং অপর ১৬ জন আসামির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।

তবে বিবাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কাশেম ও মো. মুকুল বলেন, আমরা সঠিক বিচার পাইনি। ন্যায়বিচারের দাবিতে আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।

এমজেইউ