সাভারের আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে টানা শ্রমিক অসন্তোষের পরে কাজ ফিরতে শুরু করেছেন শ্রমিকরা। তবে এখনো ২২টি পোশাক কারখানা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবিতে বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া শিল্পাঞ্চলে অন্য পোশাক কারখানায় স্বাভাবিকভাবেই কাজ চলছে। শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও সেনাবাহিনী টহল অব্যাহত রেখেছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার ডিইপিজেড, পল্লীবিদ্যুৎ, বাইপাইল, চক্রবর্তী, জামগড়া এলাকায়  সকাল থেকেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে যোগ দিয়েছেন পোশাক শ্রমিকরা। তবে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় ১৮৬৩টি পোশাক কারখানার মধ্যে ২২টি পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে। এরমধ্যে রেডিয়্যান ফ্যাশন, রেডিয়ান্স জিন্স, কমফিট কম্পোজিট লিমিটেড, টেক ম্যাক্স, পার্ল গার্মেন্টস ও শিন শিন অ্যাপারেলস এবং জেনারেশন নেক্সটসহ ১৬টি পোশাক কারখানা ১৩(১) ধারায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া ৬টি পোশাক কারখানায় সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিলেও পরে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে কারখানা কর্তৃপক্ষ।  

শ্রমিকরা বলেন, বিভিন্ন দাবি-দাবা নিয়ে শ্রমিকরা দীর্ঘ দিন মালিক পক্ষের কাছে জানিয়েছেন। কিন্তু মালিক পক্ষ কোনো রকম সুরাহা করেনি। পরে শ্রমিক কর্মবিরতি পালন করলেও মালিক পক্ষ শ্রমিকদের কথা না শুনে কারখানা বন্ধ রেখেছে। এ সময় শ্রমিকরা অবিলম্বে শ্রমিকদের ন্যায় দাবি মেনে নিয়ে কারখানা খুলে দেওয়ার কথা বলেন।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক টেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইনবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, বেশির ভাগ কারখানাতে আজ শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন। শিল্পাঞ্চলে স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরে আসছে। তবে যে কয়টিতে সমস্যা রয়েছে, সেসব কারখানাতে মালিকপক্ষ আলোচনা করছে। ওই কারখানাগুলোর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ ১৬টি পোশাক কারখানা ১৩(১) ধারায় বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়াও ছয়টি পোশাক কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। শিল্পাঞ্চলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে ও সেনাবাহিনীর টহল অব্যাহত রেখেছে বলে জানান তিনি।

লোটন আচার্য্য/এএমকে