ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় এক তরুণীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করতে গেলে বখাটেদের গুলিতে দুই তরুণ আহত হওয়ার ঘটনায় হত্যাচেষ্টা ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।

গুলিতে আহত হাফিজুর রহমানের বাবা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মফিদুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দুটি দায়ের করেন।

দুটি মামলায় সামিউল ইসলামসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম রেজা বলেন, বুধবার দুপুরে হত্যাচেষ্টা ও অস্ত্র আইনে এই মামলা দুটি নথিভুক্ত করা হয়। এ মামলায় ঘটনাস্থল থেকে আটক হওয়া সামিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

ওসি বলেন, এ মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে এক তরুণ তার বান্ধবীকে নিয়ে উপজেলার কাতলাসুর গ্রামের স্বপ্ননগরে ঘুরতে যান। এ সময় ওই এলাকায় থাকা ছয়-সাতজন বখাটে ঘুরতে যাওয়া তরুণীকে উত্ত্যক্ত করেন। এক পর্যায়ে ওই বখাটেদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় ঘুরতে যাওয়া ওই তরুণীর বন্ধুর সঙ্গে। পরে ওই তরুণ তার পরিচিত কয়েকজনকে ডেকে আনলে বখাটেরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে এবং পালিয়ে যান। এ সময় গুলিতে হাফিজুর রহমান (২৪) ও খাইরুল ইসলাম (২৩) গুলিবিদ্ধ হন। হাফিজুরের মাথার ডান পাশে ও খাইরুলের পায়ে গুলি লাগে। পরে তাদের আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় সামিউল ইসলাম (১৮) নামের এক যুবককে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশে দেন।

জহির হোসেন/এএমকে