সারা দেশের মতো রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশেও (আরপিএমপি) রদবদল শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিতায় আরপিএমপির ৬ থানায় নতুন ছয় কর্মকর্তাকে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আরপিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. সায়ফুজ্জামান ফারুকী।

এর আগে মঙ্গলবার আরপিএমপি কমিশনার মো. মজিদ আলী স্বাক্ষরিত এক আদেশে নতুন ছয়জনকে ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ওই ছয় থানার ওসির দায়িত্বে থাকা ছয়জনকে পুলিশ হেডকোয়ার্টাসে সংযুক্ত করে পরবর্তীতে বিভিন্ন ইউনিটে পদায়ন করা হয়েছে।

দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন অফিসার ইনচার্জরা (ওসি) হলেন- রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় আতাউর রহমান, হাজিরহাট থানায় আব্দুল আল মামুন শাহ, হারাগাছ থানায় মমিনুল ইসলাম সোহেল, মাহিগঞ্জ থানায় হিল্লোল রায়, তাজহাট থানায় মো. শাহ আলম সরদার ও পরশুরাম থানায় শাহজাহান আলী।

ওসি হিসেবে পদায়নকৃত ছয়জনই রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত ছিলেন। এ ছাড়াও সিটিএসবির সিআইও-১ হিসেবে এম হারুন অর রশীদকে পদায়ন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিন দিন পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। নতুন সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে পুলিশ প্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেয়। গত ১৩ আগস্ট রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। পরে তার স্থলে ৮ সেপ্টেম্বর আরপিএমপির নতুন কমিশনার হিসেবে যোগ দেন মো. মজিদ আলী।

নতুন পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে মো. মজিদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, ফেসবুক পুলিশিং, ধানকাটা পুলিশিং, মানবিক পুলিশিং, লোকদেখানো পুলিশিং, শো অফ করা পুলিশিং আমি করবো না, কথা দিচ্ছি। পুলিশের যা প্রকৃত কাজ তা করতে চাই। মানুষ যাতে স্বস্তিতে ঘুমাতে পারে, রাস্তায় চলাচল করতে পারে এসব নিশ্চিত করাই আমাদের কাজ।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমজেইউ