বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আমাদের অপেক্ষা শেষ হতে চলেছে। এক সময় মানুষ বলতো বিএনপির নেতা কে? এখন বলে আওয়ামী লীগের নেতা কে? এখন আর আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকে খুঁজে পাওয়া যায় না। আমাদেরকে আরেকটু ধৈর্য ধরতে হবে। জনগণ তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজশাহীতে বিএনপির উদ্যোগে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, গণতন্ত্রের জন্য আমরা ১৬টি বছর রক্ত দিয়েছি, জেল খেটেছি, আমাদের নেত্রী জেল খেটেছেন। আমরা নির্যাতিত হয়েছি। সেই কারণে আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। বদনাম হয় এমন কাজ করা যাবে না। আমাদের বিজয় হবেই। আমাদের নেতা বলেছেন- গণতন্ত্রের সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের নেতা তারেক জিয়া বলেছেন, অন্যায় করলে ছাড় হবে না। মাথায় রাখতে হবে, এখনো আমরা সরকারে যায়নি। যেদিন ভোট হবে, ভোটের মাধ্যমে মানুষ ভোট দিতে পারবে তার পছন্দের প্রার্থীকে, আমাদের কাঁধে-কাঁধ রেখে, বুকে বুক রেখে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আগামীতে যাতে বিএনপির পতাকা সারা বিশ্বে তুলে ধরতে পারি।

সমাবেশ রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন শওকত, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন।

সমাবেশ শেষে বিএনপির নেতাকর্মীরা শোভাযাত্রা নিয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। এ সময় রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। 

এর আগে দুপুর থেকে রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলো থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা নগরীর আলুপট্টিতে জড়ো হতে থাকেন। পাবনা, নাটোর, সিরাজগঞ্জ থেকে আসা বিএনপির নেতাকর্মীদের তালাইমারী এলাকায় যানবাহন থেকে নেমে আলুপট্টির দিকে যেতে দেখা গেছে। এছাড়া নওগাঁ, বগুড়া, জয়পুরহাট থেকে আসা বিএনপির নেতাকর্মীরা ভদ্রামোড় হয়ে ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজশাহী কলেজ এলাকায় যানবাহন থেকে নেমে সভাস্থলে আসেন। ফলে এই এলাকার সড়কগুলোতে যানজট দেখা দেয়। এতে করে বিকল্প সড়কে মানুষকে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।

শাহিনুল আশিক/আরএআর