বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) হাফিজ উদ্দিন বলেছেন, এখনো যুদ্ধ শেষ হয়নি, জনগণ সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত সরকার গঠন করতে পারলেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে। জুলাইয়ের নিরস্ত্র যোদ্ধারা সারাবিশ্বে নন্দিত হয়েছে। এছাড়া যারা মেশিনগান দিয়ে নিরস্ত্র মানুষদের গুলি করে মেরেছে তাদের বাংলার ভূ-খণ্ডে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রংপুরে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে বিএনপির বিভাগীয় শোভাযাত্রায় যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। 

শোভাযাত্রার আগে রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দানে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাফিজ উদ্দিন বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলার মানুষ যে স্বপ্ন নিয়ে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল, গত ১৬ বছরে সেই স্বপ্নকে ধুলিসাৎ করে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। ছাত্র-জনতার প্রাণ আর রক্তের বিনিময়ে মানুষের অধিকার আদায়ের সেই স্বপ্নের পথে আবারও জেগে উঠেছে বাংলাদেশ। তাই সংস্কার সাধন করে দ্রুত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

বিগত দিনে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী সরকারের নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, এতদিন আমরা গোলামের জীবনযাপন করেছিলাম। এখন ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে দেশ। তাই দেশের বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কমিশন গঠনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়ার দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

নিজ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, অনেক ত্যাগ এবং কষ্টের বিনিময়ে দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে এমন কোনো কাজ বা অপরাধে লিপ্ত হওয়া যাবে না যাতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। সেদিকে খেয়াল রেখে দলের কার্যক্রম আরও বেশি গতিশীল করার আহ্বান জানান হাফিজ উদ্দিন।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বিভাগের আট জেলা থেকে আগত দলের নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে রংপুর কালেক্টরেট মাঠ থেকে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস পালনে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস পালনে স্লোগানে স্লোগানে শোভাযাত্রাটি বিভাগীয় শহরের ডিসির মোড়, পায়রা চত্বর, জাহাজ কোম্পানি হয়ে শাপলা চত্বরে  এসে শেষ হয়।

শোভাযাত্রায় বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামুসহ দলের স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর