ফরিদপুরে অস্ত্র মামলায় ভাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. লুৎফর মোল্লাকে (৩৫) ১৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালত এবং স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন।

রায় প্রদানের সময় আসামি মো. লুৎফর মোল্লা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে পুলিশি পাহারায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

লুৎফর মোল্লা ভাঙ্গা উপজেলার কাপুড়িয়া সদরদী এলাকার মৃত গিয়াসউদ্দিন মোল্লার ছেলে। তিনি ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৪ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে ভাঙ্গা বাজারের একটি জুতার দোকানের সামনে থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলিসহ লুৎফর মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের এসআই মো. জুয়েল মিয়া বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় একটি অস্ত্র মামলা দায়ের করেন। পরে ওই বছরের ২৩ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক রাকিবুল ইসলাম। আজ আদালত মো. লুৎফর মোল্লাকে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ধারায় অস্ত্র বহনের দায়ে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং একই আইনের ১৯ (এফ) ধারায় গুলি বহনের দায়ে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। তবে দুটি সাজা একসঙ্গে ভোগ করবে বিধায় তাকে ১০ বছর কারাদণ্ড ভোগ করলেই হবে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নবাব আলী মৃধা বলেন, এ রায়ের ফলে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার কমে আসবে। পাশাপাশি দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে এবং সমাজে অপরাধপ্রবণতা কমে আসবে।

জহির হোসেন/এমজেইউ