মানবিক কাজে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছে। ছবি- ঢাকা পোস্ট

তার ডান পা ছিল গুরুতর জখম। সেই ক্ষতস্থানে আবার পোকা বাসা বেঁধেছে। এমন অবস্থায় রেলওয়ে স্টেশনে পড়েছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন বয়স্ক এক নারী। 

চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে পড়ে থাকা ওই নারীর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন কলেজ শিক্ষার্থী সাকিব বিশ্বাস। অন্যদের চোখ এড়ালেও মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থী সাকিব বিষয়টি তার সহপাঠীদের জানান।

এরপর যা হওয়ার তাই হয়েছে— মানবিক কাজে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছে। তাৎক্ষণিক শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের সহযোগিতায় ওই নারীকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে তার চিকিৎসা চলছে।

জানা গেছে, শিক্ষার্থীরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে রাতের চিকিৎসার যাবতীয় ওষুধসহ অন্যান্য সামগ্রী কিনে দিয়েছেন। 

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মানবিক এই কাজে শিক্ষার্থী সাকিবের আহ্বানে সাড়া দিয়েছিলেন, ফাহিম উদ্দিন মভিন, মাহবুবুর ইসলাম আকাশ, মুশফিকুর রহমান, সাদ, রিয়াজুল বাসার, মাহিম বিল্লাহ ও আকাশসহ অনেকে।

অন্য অনেকের ভিড়ে নিজের মানবিক দৃষ্টির ছোট্ট এই গল্প শুনিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সাকিব বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘স্টেশনে একজন অজ্ঞাত বৃদ্ধাকে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। কাছে গিয়ে দেখলাম তার ডান পায়ের এক অংশ ক্ষত হয়ে আছে। শুধু তাই নয়, ভয়াবহ বিষয় ছিল— সেই ক্ষতে পোকা বাসা বেঁধেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেই এই অসহায় নারীর জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় তাকে এ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নিয়ে যাই।’ 

শিক্ষার্থী শাফফাতুল ইসলাম বলেন, ‘ওই নারীর পরিচয় সনাক্ত করা যায়নি। তার চিকিৎসাসহ যাবতীয় সেবার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। পাশাপাশি তার পুনর্বাসনের জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।’ 

আফজালুল হক/এমএসএ