বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
মাথায় গুলিবিদ্ধ আমির হোসেনের চিকিৎসার দায়িত্ব নিল জামায়াত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত আমির হোসেনের (৩৮) পাশে দাঁড়িয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতিসহ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বাগিচাপুর গ্রামের আমির হোসেনকে দেখতে আসেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি হাফেজ রাশেদুল ইসলাম। এ সময় গুলিবিদ্ধ আমির হোসেনকে আর্থিক ও খাদ্যসামগ্রী সহযোগিতা করেন। পাশাপাশি উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তাকে ঢাকায় নিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থার বিষয়টি জানান আমির হোসেনের পরিবারকে।
বিজ্ঞাপন
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নালিতাবাড়ী উপজেলার আমির মাওলানা আফসার উদ্দিন, শেরপুর শহর জামায়াতের নায়েবে আমির ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক বিতর্কবিষয়ক সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, নালিতাবাড়ী উপজেলার সাবেক সভাপতি ও শহর জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আমিনুর রসুল, নালিতাবাড়ী পৌর জামায়াতের অর্থবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মোমেন, ইসলামী ছাত্রশিবির নালিতাবাড়ী উপজেলার সভাপতি ওমর ফারুক, রুপনারায়নকুড়া ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি খাইরুল ইসলাম প্রমুখ।
গত ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত হন আমির হোসেন। ঢাকা যাওয়ার পথে ময়মনসিংহের ফুলপুর এলাকায় পুলিশের ছররা গুলি মাথায় লেগে আহত হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অর্থের অভাবে উন্নত চিকিৎসা হচ্ছিলো না তার। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ হয়ে পড়ে আছেন গ্রামের বাড়িতে। অন্যদিকে প্যারালাইজড বাবা, মা, স্ত্রী ও চার সন্তান নিয়ে অবর্ণনীয় কষ্টে দিন কাটছে এই পরিবারের। এজন্য সরকার ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
গুলিবিদ্ধ আমির হোসেনের বিষয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি হাফেজ রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমরা আমির হোসেন ভাইয়ের উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে যা করা প্রয়োজন তাই করব। তাদের পরিবারে তিনি ছিলেন একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। মা, স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, সংসার এবং প্যারালাইজড বাবাকে নিয়ে দিশেহারা। আমরা এই পরিবারের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রাখব।
নাইমুর রহমান তালুকদার/এমজেইউ