শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আফজাল হোসেনকে অপসারণের দাবি জানানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অসহায় হতদরিদ্র উন্নয়ন প্রকল্প আইসিভিজিডি, বেতনের টাকা কর্তন, মাতৃত্বকালীন ভাতায় ঘুষ লেনদেনের অভিযোগসহ গভীর রাতে নারী শিক্ষিকাদের মোবাইলে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে মানববন্ধন করে এ দাবি তুলেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও জেন্ডার প্রোমোটাররা।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা বলেন, যোগদানের পর থেকে আফজাল হোসেন কিশোর-কিশোরী ক্লাবের শিক্ষার্থীদের ঠিকমতো নাস্তার টাকা দেন না। তিনি গর্ভবতী মায়েদের মাতৃত্বকালীন ভাতা পেতে হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। এছাড়া আইসিভিজিডির এক হাজার ৬৯০ জন থেকে ১৬০০ টাকা করে কেটে রেখে ২৮ লাখ টাকার দুর্নীতি, শিক্ষকদের ঠিকমতো বেতন না দেওয়া, গভীর রাতে নারী শিক্ষককে ফোন করে কুপ্রস্তাব দেওয়াসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত আফজাল হোসেন।

আফজাল হোসেনকে দুর্নীতিবাজ ও চরিত্রহীন কর্মকর্তা উল্লেখ করে তার অপসারণ দাবি করেন ভুক্তভোগী শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও জেন্ডার প্রোমোটাররা।

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কিশোর-কিশোরী ক্লাব প্রকল্পের শিক্ষক রাবেয়া লিমা বলেন, আফজাল হোসেন কোথাও শূন্যপদ থাকলে তার পছন্দের মানুষকে কিংবা টাকার বিনিময়ে সেই স্থানে নিয়োগ দেন। কিন্তু কোনো নিয়োগ পরীক্ষা হয় না। তিনি নারী শিক্ষকদের রাতের বেলায় অনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছেন। অফিসে যখন কেউ না থাকেন, তখন তিনি নারী শিক্ষকদের অফিসে যেতে বলেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে তার অপসারণ দাবি করছি।

জেন্ডার প্রমোটার তানজিলা আফরিস বলেন, বিভিন্ন প্রকল্প থেকে প্রায় ২৮ লাখ টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন আফজাল হোসেন। এ ছাড়া, স্বজনপ্রীতি দেখিয়ে তার অফিসের এক কর্মচারীর তিনজন স্বজনকে তিনি প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তিনি আমাদের প্রকল্পের শিক্ষকদের ঠিকমতো বেতন দেন না। এছাড়াও তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের নাস্তা বাবদ যে টাকা ধরা হয়েছে তার থেকে কেটে রাখেন। উনাকে কিছু বলতে গেলেই বাজে আচরণ করেন।

শরীয়তপুর মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক রাফিয়া ইকবাল বলেন, আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ফাইল অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। অধিদপ্তর যে সিদ্ধান্ত নেবেন, তা বাস্তবায়ন করা হবে।

সাইফ রুদাদ/এমজে