শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের ২ নেতার বিরুদ্ধে দলীয় প্রভাব বিস্তারের নানা অভিযোগ উঠেছে। এতে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল। 

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওই শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ রয়েছে তা চিঠিতে বলা হয়নি। তবে স্থানীয় একটা পক্ষ বলছে সরকারি বাসস্ট্যান্ডে জমি দখল করার অপরাধে তাদের ওই নোটিশ দেওয়া হয়েছে। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের প্যাডে দেওয়া ওই শোকজ নোটিশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান মনি।

ওই দুই নেতা হলেন, শ্রীবরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও গোসাইপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. রাশেদুজ্জামান রাসেল ও শ্রীবরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. সাইফুল ইসলাম।

কারণ দর্শানোর ওই নোটিশে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপরাধে আপনাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থার গ্রহণ করা হবে না তা আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ১২টার মধ্যে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. কামরুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মামুন-অর-রশিদের কাছে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শ্রীবরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদুজ্জামান রাসেল বলেন, শ্রীবরদী পৌরসভার বাসস্টেশন সংলগ্ন ২৩৮১ দাগে আমার পৈতৃক সম্পত্তি রয়েছে। যে সম্পদ আমার বাবা তার পৈতৃক সূত্রে পেয়েছে। এতোদিন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার থাকার কারণে আমরা জমি দখলে যেতে পারিনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমরা জমি দখলে নিয়েছি। এই বিষয়ে দলের নেতাদের আমার বিরুদ্ধে ভুল বুঝিয়েছে। কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে আমি বাসস্ট্যান্ড দখল করেছি। আসলে এটা সরকারি জমি না। আমার সব কাগজপত্র রয়েছে। এ বিষয়ে আমি আমার দলীয় নেতাদের কাছে সমস্ত কাগজপত্র উপস্থাপন করব।

অপরদিকে শ্রীবরদী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে কী চিঠি ইস্যু হয়েছে আমি এখনও জানি না। চিঠি এখনও হাতে পাইনি। হাতে পেলে এ ব্যাপারে জানাতে পারব।

এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. কামরুল হাসান বলেন, দেশের মানুষের অধিকার, গণতন্ত্র রক্ষা এবং যে কোনো দুর্যোগে জনগণকে স্বেচ্ছাসেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে গঠিত হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক দল। প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৩৯ বছর পার করলেও স্বেচ্ছাসেবার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়নি সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। তবে যারা সংগঠনের সুনাম নষ্ট করবে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর জন্য তাদের জবাব চাওয়া হয়েছে। জবাব সন্তোষজনক হলে ভালো। অন্যথায় সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নাইমুর রহমান তালুকদার/আরকে