গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ২০টি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। এতে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ১০৫ জন জেলে। জেলেদের ঘরে ঘরে কান্নার রোল পড়ে গেছে।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাতিয়ার মৎস্য ব্যবসায়ী লুৎফুল্লাহিল নিশান। 

তিনি বলেন, নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের পাঁচটি ট্রলার ডুবে গেছে। তার মধ্যে চারটি ট্রলারের লোকজন পাওয়া গেছে। এক ট্রলারের প্রায় ২০ জন মাঝিমাল্লা নিখোঁজ, আমতলী ঘাটের তিনটি ট্রলার ডুবেছে, সেখানে নিখোঁজ ২৫ জন মাঝিমাল্লা, মোক্তারিয়া স্লুইসের খালের একটি ট্রলার ডুবেছে। তার সব মাঝিমাল্লাকে উদ্ধার করা হয়েছে। বুড়িরদোনা ঘাটের পাঁচটি ট্রলার ডুবেছে, তার সব মাঝিমাল্লাকে উদ্ধার করা হয়েছে। সূর্যমুখী ঘাটের একটি ট্রলার ডুবেছে, তার সব মাঝিমাল্লাকে উদ্ধার করা হয়েছে।

লুৎফুল্লাহিল নিশান বলেন, এছাড়াও চারটি ট্রলারের কোনো সন্ধানই পাওয়া যায়নি। সেখানে ৬০ জন মাঝিমাল্লা নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত ঝোড়ো বাতাস ও প্রচণ্ড ঢেউয়ের কবলে পড়ে হাতিয়ার মোট ২০টি ট্রলার ডুবে গেছে। অনেকে ট্রলারডুবির সময় পার্শ্ববর্তী ট্রলারগুলোর সহযোগিতায় কূলে উঠেছেন। এখনো ১০৫ জন মাঝিমাল্লা নিখোঁজ আছেন। তাদের ঘরে কান্নার রোল পড়ে গেছে। আমরা দোয়া করছি আল্লাহ যেন আমাদের সহায় হয়।

নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বৈরী আবহাওয়ায় বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় আমাদের মাঝিমাল্লারা বিপদে পড়েছেন এবং ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের সহযোগিতায় আমরা উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছি। তবে বৈরী আবহাওয়া হওয়ায় উদ্ধার তৎপরতা সেভাবে করা যাচ্ছে না।  তারপর সকলের সহযোগিতায় আমরা আশা করি জেলেরা নিরাপদে ফিরে আসবেন।

হাসিব আল আমিন/আরএআর