নোয়াখালীর আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমানসহ তিন শিক্ষকের পদত্যাগ দাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউনে’র চতুর্থ দিনে আজ মৌন মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে আবার সেখানে এসেই এসে শেষ হয়। এ সময় সময় প্রচুর বৃষ্টি শুরু হয়। আর সেটা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা মিছিল করেন।

এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে আমরা আন্দোলনে এসেছি। আজ আমাদের চতুর্থ দিনের মতো কমপ্লিট শাটডাউন চলছে। স্বৈরাচারী অধ্যক্ষ সৈয়দ জাকির হোসাইন পদত্যাগ করলেও এখনো বাকি স্বৈরাচারের দোসররা ক্যাম্পাসে থাকার স্বপ্ন দেখছেন। আমরা উপাধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক ডা. রিয়াজ উদ্দিন ও সার্জারি বিভাগের শিক্ষক ডা. সৈয়দ কামরুল হোসাইনের পদত্যাগ চাই। তা না হলে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

তারা আরও বলেন, আমাদের একটাই দাবি, খুনি ও স্বৈরাচার হাসিনার দোসরদের অপসারণ করতে হবে। আমরা ক্লাসে ফিরে যেতে চাই। তাই আমাদের দাবি মেনে নিলে সব সহজ হবে। নইলে আগামীতে আরও কঠোর আন্দোলন হবে। তাদের পদত্যাগ না করিয়ে আমরা ফেরত যাব না।

গত ৮ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে স্বৈরাচার আখ্যা দিয়ে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ জাকির হোসাইন, উপাধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক ডা. রিয়াজ উদ্দিন ও সার্জারি বিভাগের শিক্ষক ডা. সৈয়দ কামরুল হোসাইনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি দেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে তারা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও অধ্যক্ষসহ চার শিক্ষককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। ফলে কার্যত অচল অবস্থা বিরাজ করছে মেডিকেল কলেজটিতে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে অবশেষে অধ্যক্ষ ডা. সৈয়দ জাকির হোসেনকে অপসারণ করে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ গাজীপুরে অধ্যাপক হিসেবে পদায়ন করা হয়। তবে উপাধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষক পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

হাসিব আল আমিন/এমএ