‘লং মার্চ টু ঢাকা’তে অংশ নিয়ে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করা শহীদ শিক্ষার্থী বাগেরহাটের আলিফ আহমেদ সিয়ামের কবর জিয়ারত করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর (প্রশাসন) গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তিনি বাগেরহাট সদর উপজেলার বড়বাসবাড়িয়া গ্রামে শহীদ আলিফ আহমেদ সিয়ামের বাড়িতে যান। প্রথমেই তিনি সফরসঙ্গীদের নিয়ে সিয়ামের কবর জিয়ারত করেন।

এ সময় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে গণহত্যার বিচারের আশ্বাস দেন প্রসিকিউটর (প্রশাসন) গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম।

সিয়ামের চাচা মুজিবুর রহমান বলেন, ৫ আগস্ট আমার ভাইয়ের ছেলে আলিফ আহমেদ সিয়ামের মাথায় গুলি লাগে। এনাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট সে মারা যায়। আমরা ন্যায় বিচার চাই। যারা গুলি করেছে এবং যাদের নির্দেশে গুলি হয়েছে তাদের সকলের শাস্তি চাই।

প্রসিকিউটর (প্রশাসন) গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে আমি আলিফ আহমেদ সিয়ামের বাড়ি ও কবর দেখতে আসছি। আলিফ আহমেদ সিয়াম একটি ইতিহাস। ট্রাইব্যুনালে এখন পর্যন্ত জুলাই গণহত্যা বিষয়ক ১৫টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আলিফ আহমেদ সিয়ামের অভিযোগটা ছিল ট্রাইব্যুনালে প্রথম অভিযোগ এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম মামলা।

তিনি আরও বলেন, ইতোপূর্বে ট্রাইব্যুনালের অনেক ইতিহাস আপনাদের জানা আছে। আমরা কথা দিচ্ছি ট্রাইব্যুনালের সকল ইতিহাস মুছে, এমন একটি বিচার জাতিকে উপহার দেব যেখানে কোন প্রশ্ন থাকবে না। ন্যায়বিচার দেওয়া হবে, তবে বিচারের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আলিফ আহমেদ সিয়াম বাবা-মায়ের সঙ্গে সাভার জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় থাকতেন। ৫ আগস্ট ‘লং মার্চ টু ঢাকা’তে অংশ নিয়ে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট রাতে মারা যায়। পরে ১৪ আগস্ট আলিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা বুলবুল আহমেদ বাদী হয়ে ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। বুলবুল আহমেদ জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কাপড়ের ব্যবসা করেন।

শেখ আবু তালেব/এসকেডি