নোয়াখালী মেডিকেল কলেজে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’
উপাধ্যক্ষসহ ৩ শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল
নোয়াখালীর আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমানসহ তিন শিক্ষকের পদত্যাগ দাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউনে’র তৃতীয় দিনে মশাল মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে আবার সেখানে এসেই এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
বিজ্ঞাপন
এ সময় তাদের মুখে ‘এক দুই তিন চার, উপাধ্যক্ষ স্বৈরাচার’, ‘এক দুই তিন চার, প্রশাসন স্বৈরাচার’, ‘পাশ ফেলের ভয় দেখিয়ে, কয়দিন রাখবেন চুপ করিয়ে’, প্রভৃতি স্লোগান শোনা যায়।
জানা গেছে, গত ০৮ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে স্বৈরাচার আখ্যা দিয়ে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ জাকির হোসাইন, উপাধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক ডা. রিয়াজ উদ্দিন ও সার্জারি বিভাগের শিক্ষক ডা. সৈয়দ কামরুল হোসাইনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি দেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও অধ্যক্ষসহ চার শিক্ষককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। ফলে কার্যত অচল অবস্থা বিরাজ করে মেডিকেল কলেজটিতে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে অবশেষে অধ্যক্ষ ডা. সৈয়দ জাকির হোসেনকে অপসারণ করে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ গাজীপুরে অধ্যাপক হিসেবে পদায়ন করা হয়। তবে উপাধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষক পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, স্বৈরাচারী অধ্যক্ষ সৈয়দ জাকির হোসাইন পদত্যাগ করলেও এখনো বাকি স্বৈরাচারের দোসররা ক্যাম্পাসে থাকার স্বপ্ন দেখছেন। আমরা উপাধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক ডা. রিয়াজ উদ্দিন ও সার্জারি বিভাগের শিক্ষক ডা. সৈয়দ কামরুল হোসাইনের পদত্যাগ চাই। তা নাহলে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
আনাস বিন ইকবাল নামে এক আন্দোলনকারী বলেন, আমাদের একটাই দাবি, খুনি ও স্বৈরাচার হাসিনার দোসর উপাধ্যক্ষ, শিক্ষক সৈয়দ ডা. কামরুল হোসাইন ও ডা. রিয়াজকে অপসারণ করতে হবে। আমরা ক্লাসে ফিরে যেতে চাই। তাই আমাদের দাবি মেনে নিলে সব সহজ হবে। নইলে আগামীতে আরও কঠোর আন্দোলন হবে। তাদের পদত্যাগ না করিয়ে আমরা ফেরত যাব না।
এদিকে মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, শিক্ষক সৈয়দ ডা. কামরুল হোসাইন ও ডা. রিয়াজকে একাধিকবার ফোন করা হলে তারা রিসিভ করেননি।
হাসিব আল আমিন