গোপালগঞ্জে বিএনপির গাড়িবহরে হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সময় টিভির চিত্র সাংবাদিক এইচ এম মানিকসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ বিএনপির নেতাকর্মীদের। 

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা সদরের ঘোনাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় বিএনপির বহরের ৬টি গাড়ি ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।

নিহত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শওকত আলী দিদার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আম্পায়ার ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। তার বাড়ি ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী তার নিজ বাড়ি টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছিলেন। তার আগমন উপলক্ষ্যে জেলা শহরের ঘোনাপাড়া এলাকায় পথসভার আয়োজন করেন স্থানীয় বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ৩টায় জেলা শহরের বেদগ্রাম এলাকায় পথসভা শেষে ৪টার দিকে ঘোনাপাড়া উদ্দেশ্যে রওনা হন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় ঘোনাপাড়ায় তাদের গাড়িবহর পৌঁছালে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালান।

এ সময় ছবি তুলতে গেলে সময় টিভির চিত্র সাংবাদিক এইচ এম মানিককে মারধর ও ক্যামেরা ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। দুপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে শওকত আলী দিদারকে বেধড়ক পিটিয়ে সড়কের পাশে ফেলে রাখে হামলাকারীরা। তাকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও তার স্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওশন আরা রত্না, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সবুজসহ আরও ৩০ জন আহত হন।

নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আনিচুর রহমান ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সেলিমুজ্জামান সেলিম।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আনিচুর রহমান বলেন, আমরা জানতে পেরেছি ঘোনাপাড়া সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জিলানীর পথসভার কথা ছিল। এ সময় পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করে মহাসড়কে পাশে অবস্থান নেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে বেদগ্রাম থেকে ঘোনাপাড়া যাওয়ার সময় জিলানীর গাড়িবহরে হামলা চালান তারা। এসময় দুপক্ষের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শওকত আলী দিদার নিহত হন। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে গোপালগঞ্জে হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

পিএইচ