শেখ পরিবার দেশটাকে জমিদারি মনে করত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দিনাজপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিতে আহত দিনমজুর আব্দুর রশিদ ও তার সন্তানকে দেখতে যান রুহুল কবির রিজভী। এ সময় তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নগদ টাকা, খাদ্য ও উপহার সামগ্রী বিতরণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন। 

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার দানবীয় সরকারের আমলে দীর্ঘ ১৫ বছরের আন্দোলনে বিএনপির ৮০০-এর বেশি নেতাকর্মী গুম হয়েছেন, অসংখ্য নেতাকর্মী বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। দীর্ঘ ১৫ বছরের আন্দোলনের পটভূমিতে গত জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানের অগ্নি মশাল জ্বলে উঠেছিল। তার চূড়ান্ত পরিণতি শেখ হাসিনার দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া।

গণমাধ্যমে প্রচারিত শেখ হাসিনার নিজেকে প্রধানমন্ত্রী দাবি করে ফোন রেকর্ডের বিষয়ে রিজভী বলেন, পতিত স্বৈরাচার পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী বলছেন হারানোর বেদনা থেকে। কারণ শেখ পরিবার বাংলাদেশটাকে জমিদারি মনে করতো। এভাবে ১৫/১৬ বছর দেশ পরিচালনা করেছে। যেই বিরুদ্ধে কথা বলতে গেছে, তাকে নিরুদ্দেশ করে দিয়েছে। তাকে অদৃশ্য করে দিয়েছে। তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। বিরোধী কোনো কণ্ঠস্বর তিনি রাখতে চাননি। এটি দমনের জন্য একদিকে যেমন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছেন, অন্যদিকে প্রত্যক্ষভাবে দমনের জন্য এমনভাবে র‌্যাব-পুলিশকে গঠন করেছিলেন, যাদের অধিকাংশ কর্মকর্তা ছিলেন আওয়ামী লীগ ঘরনার অথবা যুবলীগ-ছাত্রলীগের।

রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, বিএনপির কারও নামে চাঁদাবাজি-দখলবাজির খবর পেলেই সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।  

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আব্দুর রশিদ গুলিবিদ্ধ হন। তার স্ত্রী সে সময় সন্তান প্রসব করেন। চিকিৎসার খরচ জোগাতে গিয়ে তিন দিনের সন্তানকে দত্তক রেখে ২৫ হাজার টাকা নিয়ে চিকিৎসা করান রশিদ। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে বিষয়টি বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা ও প্রশাসন অবগত হলে তারা রশিদের সন্তানকে আবার তাদের কাছে ফিরিয়ে দেন।

ইমরান আলী সোহাগ/এএমকে