খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা বলেছেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ থেকে ভারতে পালিয়ে গিয়েও স্বৈরাচার শেখ হাসিনা চুপচাপ বসে নেই। সেখানে বসে তিনি দেশের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছেন। সুতরাং ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বাধীনতা পেলেও বিএনপির আন্দোলন চলমান রয়েছে। কারণ এখনো স্বৈরাচারের দোসররা চুপচাপ বসে নেই। তারা বিভিন্ন জায়গায় উসকানি দিয়ে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছে।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় পশ্চিমবানিয়া খামার ঈদগা স্কুলমাঠে সোনাডাঙ্গা থানার অন্তর্গত ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অ্যাডভোকেট মনা বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার নির্দেশে যাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, সেই হত্যাকারীদের ক্ষমা করলে নিহতদের আত্মার সঙ্গে বেইমানি করা হবে। ট্রাইব্যুনাল করে প্রতিটি হত্যা ও অপরাধের বিচার করতে হবে।

সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন মহানগরের সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিন। ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক সেখ জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সদস্যসচিব সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য দেন ফকরুল আলম, সৈয়দা রেহেনা ঈসা, অ্যাডভোকেট নুরুল হাসান রুবা, বদরুল আনাম খান, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, তৈয়েবুর রহমান, একরামুল হক হেলাল, সাঈদ হাসান লাভলু, তারিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি, আক্কাস আলী, ফারুক হোসেন, মুজিবর রহমানসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিল অধিবেশনে নির্বাচন কমিশনার বেগম রেহেনা ঈসা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি পদে মাহমুদ আলম বাবু মোড়ল, সাধারণ সম্পাদক পদে আরিফুর রহমান বিপ্লব ও সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহিন আহসানকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন। সম্মেলনের শুরুতে অতিথিরা জাতীয় ও দলীয় পতাকা এবং পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

মোহাম্মদ মিলন/এমজেইউ