আন্দোলকারীদের মরদেহ পোড়ানো আরাফাতকে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আন্দোলকারীদের হত্যা, ভ্যানে মরদেহের স্তূপ ও পোড়ানোরর ঘটনায় ঢাকা উত্তরের গোয়েন্দা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা আরাফাত হোসেনকে গ্রেপ্তারের পর আশুলিয়া থানায় সোপর্দ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র্যাব-৪-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর জালিস মাহমুদ খান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে সকালে আত্মগোপন থাকা আরাফাতকে রাজধানীর আফতাবনগর আবাসিক এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে র্যাব-৩ ও র্যাব-৪ যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার করে।
বিজ্ঞাপন
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতা আশুলিয়া থানা এলাকায় জড়ো হয়। পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। ফলে আন্দোলনে অংশ নেওয়া অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। পরে কতিপয় পুলিশ সদস্যরা মরদেহগুলো একত্রিত করে ভ্যানের ওপর স্তূপ করে ব্যানার দিয়ে ঢেকে দেয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
আরও পড়ুন
র্যাব-৪-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর জালিস মাহমুদ খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর আরাফাত হোসেন আত্মগোপনে চলে যান। পরে র্যাব-৪ আরাফাতকে গ্রেপ্তারের জন্য তদন্ত শুরু করে। আজ সকালে র্যাব-৩ ও র্যাব-৪ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানার সামনে একটি ভ্যানে মরদেহের স্তূপ করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা আরাফাতকে দেখা যায়। আরাফাতের বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে তখন আরাফাত ছুটিতে রয়েছে বলে জানান ঢাকা জেলা উত্তরের গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব। তারপর থেকেই আরাফাত আত্মগোপন ছিল।
লোটন আচার্য্য/এমজেইউ