মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে কক্সবাজার শহরে সকাল থেকে টানা কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানি উঠেছে বিভিন্ন হোটেল মোটেল থেকে শুরু করে বাসাবাড়িতে। শহরের প্রধান সড়কে হাঁটু পর্যন্ত পানি জমেছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পর্যটক ও স্থানীয়রা। 

ব্যবসায়ীরা জানান, পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ড্রেন না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই কলাতলী ও সুগন্ধা পয়েন্টসহ বিভিন্ন এলাকায় নিম্নাঞ্চলে  জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, কলাতলী ও সুগন্ধা পয়েন্টের হোটেল মোটেল ও প্রতিটি অলি-গলিসহ মূল সড়কেও হাঁটু পরিমাণ পানি জমেছে। সড়কে চলা সিএনজিচালিত অটোরিকশা, কারসহ কিছু যানবাহন বিকল হয়ে পড়ে আছে। এর ফলে অনেক রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়।

এদিকে সকাল থেকে বৃষ্টির ফলে শহরের ঘোনাপাড়া, কুতুবদিয়াপাড়া, বড়বাজার, টার্মিনাল ও টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্ষ্যং উনছিপ্রাং, রইক্ষ্যং, লম্বাবিল, হ্নীলা এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

কক্সবাজার শহরের বাসিন্দা তারেক বলেন, সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে পুরো শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। মূলত পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ড্রেন না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে আমাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। 

কলাতলী হোটেল মোটেল জোনের ব্যবসায়ী রাজ্জাক বলেন, সামান্য বৃষ্টিতে হোটেল মোটেল জোন নদীতে পরিণত হয়েছে। এতে পর্যটকরা হোটেল বন্দি হয়ে গেছে। আপাতত আমরা বেচাকেনা বন্ধ করে বসে আছি।

হোটেল সি গাজীপুরের মালিক আব্দুল জব্বার বলেন, বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের হোটেলের রোডে হাঁটু পরিমাণ পানি। যার কারণে অনেক পর্যটক রুম থেকে বের হতে পারছে না। 

মোহাম্মদ এরফান নামে এক পর্যটক বলেন, আজ সকালে কক্সবাজারে এসেছি। হোটেল লেগুনাতে উঠি। বৃষ্টির কারণে হোটেলের সড়ক ডুবে গেছে। এখন ভিজে ভিজে রুমে যাচ্ছি। 

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান জানান, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে কক্সবাজার শহরে সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে কক্সবাজারকে ৩ নম্বর তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

সাইদুল ফরহাদ/আরএআর