নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর সহধর্মিণী ও দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসীনা রুশদীর লুনার গাড়িতে হামলার প্রায় ২২ মাস পর মামলা দায়ের করা হয়েছে।

২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর হামলার ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজারের নিজ করনসি গ্রামের মৃত মুজেফর বক্সের ছেলে মো. মন্নান বক্স।

মামলার আসামিরা হলেন- ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাবেদ আহমদ আম্বিয়া (৪৫), উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা কিবরিয়া মিয়া (৪২), কামরুল ইসলাম (৪২), লিলবর হোসেন (৩৮), রিপন মিয়া (৩২), আমজাদ হোসেন (৩০), রুবেল আহমদ পংকি (৩০), মো. নজরুল মিয়া (২৮), মুকিদ মিয়া (৪৭), শাকিল মিয়া (২৬), রাজন দেব (২৮), বেলাল আহমদ, মতিউর রহমান (৩৮), হাবিব মিয়া (২৯), জাবেদ মিয়া (২৮), নাহিদ মিয়া (৩০), কওছর মিয়া (২৮), ফারুক আহমন (৪০), রফু মিয়া (৩২), জামাল মিয়া (২৯), ওসমানীনগর থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ এসএম মাইন উদ্দীন, কনস্টেবল আশরাফুল ইসলাম, এলেক্স কাওছার (৩০), নয়ন মিয়া (২৪), খোকন মিয়া (৩৫), হুমায়ুন আহমেদ (২৬), সালমান আহমদ মাছুম (৩৮), শাহ আলমগীর (৪০), ইউসুফ হোসেন চৌধুরী (৪০), আব্দাল মিয়া (৪৫), মিজু মিয়া (২৯)।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়- ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর বিকেল ৪টায় সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশ উপলক্ষ্যে ওসমানীনগরে নেতা-কর্মী নিয়ে প্রচারপত্র বিলি করতে যান তাহসিনা রুশদীর লুনা। ওইদিন উপজেলার উত্তর গোয়ালাবাজার দাশপাড়া রোডে প্রচারপত্র বিলি শেষে ব্যক্তিগত গাড়িতে উঠার সময় নেতা-কর্মীসহ হামলার শিকার হন।

এজাহারনামীয় আসামিসহ আনুমানিক ৫০/৬০ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী বাদীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এ সময় বিএনপি নেত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা শান্তিপূর্ণ প্রচারপত্র বিলি কর্মসূচিতে বাধা প্রধান করার কারণ জিজ্ঞেস করলে ১ নম্বর আসামি তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে লুনাকে হত্যার চেষ্টায় আঘাত করেন। ১ নম্বর সাক্ষী আব্দুল্লাহ মিছবাহ তাকে আগলে রাখার চেষ্টা করলে রডের আঘাতে আহত হন।

আসামিরা সেদিন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনার বহনকারী ঢাকা মেট্রো-গ-২১-৫৮২২ নম্বর গাড়িটি ভাঙচুরের মাধ্যমে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে। সেদিন পুলিশের আশকারায় আসামিদের হামলায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীর অনেকে আহত হন।

প্রায় ২২ মাস পর মামলা দায়েরের কারণ সম্পর্কে বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন- বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ পরিবর্তনের ফলে ঘটনার সুবিচারের আশায় মামলা দায়ের করতে দেরি হয়। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে ওসমানীনগর থানা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

ওসমানীনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হক বলেন, আমি শুনেছি ইলিয়াসপত্নীর গাড়িতে হামলার বিষয়ে সিলেটের আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতের কোনো নির্দেশনা এখনো পাইনি। পেলে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মাসুদ আহমদ রনি/এমজেইউ