আওয়ামী লীগের শাসনামলে বরিশালে লাইসেন্স পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজন এখনো তাদের অস্ত্র জমা দেননি। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছে শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত অস্ত্র জমা না দেওয়া ব্যক্তিরা হলেন- সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর ছেলে সেরনিয়াবাত আশিক আব্দুল্লাহ, বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন। এছাড়া সাব্বির আহম্মেদ, এজাজুল হক ও মনিরুল ইসলাম নামের তিন ব্যবসায়ী এখনো অস্ত্র সমর্পন করেনি।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার নাফিছুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে আটটি অস্ত্র জমা না পড়ার তথ্য জানানো হয়েছিল। পরে যাচাই-বাছাই করে আরো তিনটি জমা হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এখনো ৫টি অস্ত্র জমা পড়েনি। এই পাঁচ অস্ত্রের মালিকদের যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। তারা নিজ উদ্যোগে জমা না দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলমান আছে।

জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম বলেন, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত  বরিশালে ১৯৭টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে লাইসেন্সগুলো স্থগিত করে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত যে অস্ত্রগুলো জমা পড়েনি সেগুলো উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। যারা জমা দেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরকে