পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় চাষিদের আর্থিকভাবে লাভবান হতে ফলসহ মসলা জাতীয় গাছের চারা বিতরণ করেছে ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ) ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর আর্থিক সহযোগিতায় জেলার দুটি উপজেলার (তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড় সদর) ২৫০ জন উপকারভোগীদের মাঝে ১৫ হাজার গাছের চারা বিতরণ করা হয়।

এর মধ্যে রয়েছে- কফি, বীজবিহীন লিচু, পামেলো, পার্সিমন, আনারস (গউ ২), কমলা (দার্জিলিং), গোলমরিচ ও দারুচিনি গাছের চারা।

বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ইএসডিওর হেড অফ ইনক্লুসিভ মাইক্রোফিনান্স ও ফোকাল পার্সন মো. আইনুল হক, ইএসডিওর জেলা জোনাল ম্যানেজার মো. আরিফুল ইসলাম, আরএমটিপির প্রকল্প ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ কল্যাণ মহান্ত, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার অলিয়ার রহমান ও সহকারী ভ্যালু চেইন ফ্যাসিলিটেটর আসাদুজ্জামানসহ অনেকে।

চাষিরা বলেন, উচ্চমূল্যের চারা কেনার সামর্থ্য তাদের নেই। ইএসডিও এ অঞ্চলে উচ্চমূল্যের ফল, ফসল ও ফুল ফলাতে কাজ করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি আমাদের অঞ্চলে চাষিদের মাধ্যমে উচ্চমূল্যের ফসল ফলাতে যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে আমরা অভিভূত। আমরা এসব গাছ বাড়িতে গিয়ে লাগাবো। চারাগুলো বেড়ে উঠা পর্যন্ত যত্ন নিতে হবে। কৃষিবিদরা গিয়ে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।

এ সময় চাষিরা কেউ পেয়েছেন বীজবিহীন লিচু, কফির চারা, কেউ পামেলো, পার্সিমন, আনারস (গউ ২) আবার কেউ দার্জিলিং কমলা, গোল মরিচ ও দারুচিনির চারা।

ইএসডিও জানায়, পুষ্টি নিরাপত্তায় খাদ্য তালিকায় ফলের গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশের জলবায়ু ও আবহাওয়া আধা উষ্ণ প্রকৃতির হলেও সাব ট্রপিক্যাল অঞ্চলের অনেক উচ্চমূল্যের ফল-ফসল যেমন লোকাট, পার্সিমন, কমলা, রাম্বুটান, কফির চাষ খুব একটা লক্ষ্য করা যায় না। বিশ্বের মোট উৎপাদিত প্রায় ১০০ মিলিয়ন টন ট্রপিক্যাল ফলের প্রায় ৫০% এশিয়ায় উৎপাদিত হয়।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মধ্যে ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন বিভিন্ন ট্রপিকাল ফল উৎপাদন ও রপ্তানিতে এগিয়ে রয়েছে। অথচ বাংলাদেশের জলবায়ু ও মাটির ধরন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সাদৃশ্য থাকা সত্ত্বেও এক্ষেত্রে উচ্চমূল্যের এসব ফল চাষ তেমন লক্ষ্য করা যায় না।

এসকে দোয়েল/এমএসএ