‘সব ব্যবসায়ী আমে এটা দেয়, সেজন্য আমিও দিচ্ছি। এই ওষুধ দিলে দ্রুত আম পাকে ও রং ভালো হয়। আমি জানি এটা অপরাধ, তাও দিচ্ছি।’ এভাবেই সরল স্বীকারোক্তি দিলেন আম ব্যবসায়ী শওকত আলী।

সাতক্ষীরার তালা সদরের শাহপুর গ্রামের আকছেদ মোড়লের ছেলে শওকত আলী আরও বলেন, এই আমগুলো আমি তালা বাজার, খুলনাসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করি। প্রশাসনের কেউ এখনো বাধা দেয়নি।

সোমবার (১০ মে) তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের শুকদেবপুর গ্রামের মনিরুদ্দীন বিশ্বাসের আম বাগানের গাছ থেকে আম ভাঙছেন শ্রমিকরা। গাছ থেকে পেড়ে আমগুলো নিচে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। সেখানেই ব্রাইট-১৫ নামের বিষ পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করছেন আম ব্যবসায়ী শওকত আলী।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সব আম ব্যবসায়ী এখন গাছ থেকে আম ভাঙছেন। সেখানেই আমে বিষ স্প্রে করে বাজারজাত করা হচ্ছে। বিষ স্প্রে করলেই পরদিন পেকে যায় আম। আমে বিষ দিয়ে পাকালে সেটি ক্ষতিকর সবাই জানলেও এ কাজে কেউ বাধা দেয় না। প্রশাসনের কর্মকর্তারা বা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদেরও কোন পদক্ষেপ নিতে দেখি না।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর খামারবাড়ির উপ-পরিচালক নুরুল ইসলাম জানান, কোনভাবেই আমে রাসায়নিক দ্রব্য, কেমিকেল বা বিষ প্রয়োগ করা যাবে না। জেলার আম ব্যবসায়ীদের এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। গত ২৭ এপ্রিল জেলা নিরাপদ আম বাজারজাতকরণ ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিং করা হয়েছে। সেখানে দিনক্ষণ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কোন আম কোন তারিখ থেকে ব্যবসায়ীরা ভাঙতে পারবেন। কেউ আমে কেমিকেল বা রাসায়নিক দ্রব্য প্রয়োগের খবর পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তালার শুকদেবপুরে আম ভেঙে সেখানে বিষ স্প্রে করা হচ্ছে (বিকেল ৩টা) এখন কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এ ধরনের খবর আমাদের কাছে আসে না। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে যারা এ ধরনের কাজ করেন। এখনই তালার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে বিষয়টি জরুরিভাবে দেখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছি।

আকরামুল ইসলাম/এসপি