রাজশাহীতে গণপিটুনিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মাসুদের (৩২) মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরীর মতিহার থানায় নিহত মাসুদের বড় ভাই আয়াতুল্লাহ বেহেস্তী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত ২০ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে আয়াতুল্লাহ বেহেস্তী উল্লেখ করেন, আব্দুল্লাহ আল মাসুদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) হাসপাতালের স্টোরকিপার পদে কর্মরত ছিল। তিনি গত ২০২২ সালের ডিসেম্বর রাবির মেডিকেল সেন্টারে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে আমার ছোট ভাই আব্দুল্লাহ আল মাসুদ রাবির জুবেরী অফিসার্স কোয়াটার্সে সপরিবারে বসবাস করে আসছিল। গত ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬টায় রাবির জুবেরী অফিসার্স কোয়াটার্স থেকে তার ব্যবহৃত স্কুটিযোগে (মোটরসাইকেল) নবজাতক সন্তান ও অসুস্থ স্ত্রীর ওষুধ আনতে বিনোদপুর বাজারস্থ ফার্মেসিতে গেলে অজ্ঞাতনামা কে বা কারা তাকে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী অনুসরণ করে। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি/ব্যক্তিরা মাসুদকে মতিহার থানাধীন অজ্ঞাত স্থানে প্রহার করে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথম মহিতার পরে বোয়ারিয়া থানায় হত্যা মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য নিয়ে যায়। পরবর্তীতে শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। রামেক হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার ছোট ভাইয়ের দ্রুত এক্সরে করে এবং ৩১নং ওয়ার্ডে ভর্তি করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, রামেক হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্স মাসুদকে বাঁচানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেন। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালের ৩১নং ওয়ার্ডে মৃত্যুবরণ করেন। তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায়।

এ বিষয়ে মতিহার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম বলেন, নিহতের ভাই বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২০ থেকে ৩০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শাহিনুল আশিক/এমজেইউ