ছবি: নিহত ত্বকী

নারায়ণগঞ্জের তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত শামীম ওসমানের ভাতিজা আজমেরী ওসমানের গাড়িচালক জামশেদ শেখকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোরে ঢাকা থেকে জামশেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। ত্বকীকে হত্যার পর মরদেহ শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলার জন্য যে গাড়িতে রাখা হয়েছিল, সেটি চালিয়েছিলেন জামশেদ।

র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, বুধবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে জামশেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। ত্বকী হত্যার সঙ্গে তার সরাসরি যোগ ছিল।

ত্বকী হত্যার ঘটনায় এর আগে রোববার ও সোমবার সাফায়েত হোসেন শিপন, মামুন মিয়া ও কাজল হাওলাদার নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তারা ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। আজমেরী ওসমানের পাশাপাশি র‌্যাবের তদন্ত তালিকায় তাদের নাম ছিল। বর্তমানে তাদের র‌্যাব হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

র‌্যাবের ফাঁস হওয়া তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৩ সালে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয় ত্বকীকে। এরপর তার মরদেহ শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।

ত্বকী হত্যার ঘটনায় এর আগে ইউসুফ হোসেন লিটন, সুলতান শওকত ব্রমোর, রিফাত, তায়েব উদ্দিন ও সীমন্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ইউসুফ ও সুলতান ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে অপরাধ স্বীকার করেন। বাকি পাঁচজন জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে পলাতক আছেন।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের এবিসি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থী তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী ২০১৩ সালের ৬ মার্চ নিখোঁজ হয়। পরদিন শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাবের গোপন তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আজমেরী ওসমান ও তার সহযোগীরা ত্বকীকে অপহরণ করে এবং পরে নির্যাতন করে হত্যা করে।

এফআরএস