সারাদেশে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি দখলদারিত্ব বন্ধসহ ভুয়া সমন্বয়ক চিহ্নিত করতে মাঠে নেমেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর)  ঢাকার সমন্বয়ক ওয়াহিদ উজ জামানসহ ১০ সমন্বয়ক মেহেরপুর সফর করেন। সফরে এসে মেহেরপুরের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসেন ছাত্র ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে।

এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সমন্বয়ক ওয়াহিদ উজ্ জামান বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ রয়েছে সারাদেশে ভুয়া সমন্বয়ক সেজে নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তিরা। এছাড়াও দেশে আগের মতোই কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ নিজেদের স্বার্থগুলো হাসিলের উদ্দেশ্যে নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। ফ্যাসিস্ট সরকার বিতাড়িত হলেও তাদের প্রেতাত্মারা ভর করেছে তাদের মাঝে। এসব অপকর্ম যাতে কেউ করতে না পারে সেই লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি জেলায় গিয়ে শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিকদের সচেতন করা হচ্ছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দেড় হাজার ভাই ও বোনের রক্তের বিনিময় যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। সেই বাংলাদেশ বিনির্মাণে সাধারণ মানুষের ভূমিকা অপরিসীম। দেশের ৬৪ জেলার মানুষের চিন্তাধারা মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে। সেই ভিন্ন চিন্তাগুলো এক জায়গায় করা হচ্ছে। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাদের ভূমিকা থাকবে সবার শীর্ষে।

শহীদ ও আহত ভাই বোনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সারাদেশে গিয়ে আহত ও নিহত শিক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। চিকিৎসা থেকে শুরু করে তাদের পরিবারের চাহিদাগুলো জানার চেষ্টা চলছে। এছাড়াও শহীদদের জন্য একটি ফান্ড তৈরির চিন্তা করছে সরকার। আহত ও নিহতদের পরিবারের স্বজনদের চাকরি দেওয়ার মাধ্যমে তাদের পরিবারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।

সারাদেশে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নিজেকে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে অপকর্ম করার কোনো সুযোগ নেই। দ্রুত জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হবে। দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কমিটি দিতে বিলম্ব হচ্ছে।

সমন্বয়কের দলটি বেলা ১১টায় মেহেরপুর সরকারি কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। দুপুর ১২টায় তারা মেহেরপুর  সদর উপজেলা পরিষদ হল রুমে, জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা-বাহিনী, রাজনীতিবিদ, জেলার বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। 

এ সময় জেলা প্রশাসক শামীম হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান খান, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা তাজউদ্দীন খানসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। 

আকতারুজ্জামান/এসকেডি