শিক্ষার্থীদের হট্টগোলের কারণে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় অনেকটা অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তাদের এমন আচরণের অসুস্থ হয়ে পড়েন থানার ওসি আলমগীর হোসেন। মঙ্গলবার সকালে সদর মডেল থানায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রদের অশোভন আচরণের কারণে চাঁদপুর মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। এ ঘটনায় থানায় কর্মরতরা নিরাপত্তাহীনতার কারণে কর্মবিরতির কথা ভাবছিলেন। খবর পেয়ে থানায় আসেন চাঁদপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়। তিনি পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া রোডে দুই দিন আগে এক আওয়ামী লীগ নেত্রী ও তার মেয়ে স্থানীয়দের কাছে হেনস্তার শিকার হন। খবর পেয়ে ওই নেত্রীর মেয়ের সহপাঠীরা ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় পুলিশের সামনেই হেনস্তাকারীরা ওই ছাত্রদের উপর চড়াও হয়ে হামলা করে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে একদল ছাত্র চাঁদপুর সদর মডেল থানায় আসেন। ওসি আলমগীর হোসেনের সঙ্গে প্রায় তিন ঘণ্টা তাদের আলোচনা হয়। এক পর্যায়ে থানায় এসআই আব্দুস সামাদকে তারা লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ তাদের আটকে অভিযানে বের হলে পালিয়ে যায়।

পুনরায় ছাত্ররা মঙ্গলবার সকালে থানায় এসে একই বিষয় নিয়ে হট্টগোল করেন। এ সময়ে ওসি আলমগীর হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

খবর পেয়ে দ্রুত থানায় আসেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, থানার কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। সংকটের পাশাপাশি সমাধানও রয়েছে। তবে পুলিশ বাহিনীকে তার স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায় সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।

ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় বলেছেন, একটা সমস্যা হয়েছে, তবে আমরা তা কাটিয়ে উঠেছি। সব ঠিক হয়ে যাবে।

আনোয়ারুল হক/এসকেডি