শাফায়েত হোসেন শিপন ও মামুন মিয়া

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যায় গ্রেপ্তার তিন আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন নারায়ণগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত  আদালত।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ এই তথ্য জানিয়েছেন।

জানা যায়, ৮ সেপ্টেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার চাষাড়া এলাকা থেকে আবু হোসেনের ছেলে মো. শাফায়েত হোসেন শিপন ও কালিবাজার এলাকা হতে সিরাজুল ইসলামের ছেলে মামুন মিয়া এবং ৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে ডিএমপির ধানমন্ডি এলাকা হতে আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে মো. কাজল হাওলাদারকে র‌্যাব-১১ গ্রেপ্তার করে।

পরবর্তীতে র‌্যাব গতকাল শিপন ও মামুনকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং আজ (১০ সেপ্টেম্বর) কাজলকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। উল্লিখিত তিন আসামি বর্তমানে র‌্যাবের হেফাজতে রিমান্ডে রয়েছে।

মো. কাজল হাওলাদার

এর আগে, ত্বকী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় র‍্যাব ইউসুফ হোসেন লিটন, সুলতান শওকত ভ্রমর, তায়েব উদ্দীন জ্যাকি ও সালেহ রহমান সীমান্ত নামের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। ২০১৩ সালের ২৯ জুলাই র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার লিটন প্রথম ত্বকী হত্যায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। এ সময় তিনি বলেন, সালেহ রহমান সীমান্তের জামতলা ধোপাপট্টির বাড়িতে সংঘটিত হয় ওই হত্যাকাণ্ড।

অন্যদিকে আরেক আসামি সুলতান শওকত ভ্রমর তার জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন, ত্বকী হত্যার নেতৃত্বে ছিলেন আজমেরী ওসমান। তার নির্দেশেই হত্যা করা হয় ত্বকীকে।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ বিকেলে শহরের শায়েস্তা খান সড়কের বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয় ত্বকী। দুদিন নিখোঁজ থাকার পর ৮ মার্চ সকালে শহরের চারারগোপ এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ত্বকীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পাওয়া যায়। ঘটনার পর থেকে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ও ভাতিজা আজমেরী ওসমানকে দায়ী করে আসছেন ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বী।

এমজেইউ