বরগুনায় সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে অভিযুক্ত মো. শাওন মোল্লার (৪০) নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও দুই থেকে তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্ত শাওন মোল্লা বরগুনা পৌরসভার চরকলোনী নামক এলাকার বাসিন্দা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লার ছেলে।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান মামলার বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেন।

এর আগে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলের দিকে ভুক্তভোগী আব্দুর রশিদ বরগুনা থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

অভিযুক্ত শাওন মোল্লা

মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ব্যক্তিগত কাজের জন্য বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মূল ভবনের পূর্ব গেট দিয়ে প্রবেশ করেন ভুক্তভোগী সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. আব্দুর রশিদ। এসময় অভিযুক্তদের সেখানে  দাঁড়ানো দেখতে পান তিনি। পরে অভিযুক্ত শাওন মোল্লা ভুক্তভোগী রশিদ মিয়াকে অজ্ঞাত আসামিদের সহায়তায় পথরোধ করেন। পরে শাওন মোল্লা তার বাম হাত ধরে অকথ্য ভাষায় গালাগালির একপর্যায়ে ভুক্তভোগীর ব্যবহৃত চশমা টেনে নিয়ে রাস্তায় আছাড় দিয়ে ভেঙে ফেলেন। এছাড়াও চশমা তুলতে গেলে মাথায় চড়-থাপ্পড়সহ পিঠের ওপর কিলঘুষি দেন শওন।

ভুক্তভোগী মামলায় উল্লেখ করেন, মারধরের পর সম্মানহানি করার উদ্দেশ্যে ওই ঘটনার দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করা হয়। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ভাইরাল করে দেওয়া হয়। এছাড়াও অভিযুক্তরা নানা ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করেন বলে উল্লেখ করা হয়।

ভুক্তভোগী সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. আব্দুর রশিদ

প্রসঙ্গত, গত রোববার দুপুরের দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. আব্দুর রশিদ লাঞ্ছিত ও মারধরের শিকার হন। যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে দেখা যায়, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফারুক মোল্লার ছেলে শাওন মোল্লা ওই সাবেক কমান্ডারকে মারধর করছেন।

এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রশীদের অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় একটি নিয়মিত মামলা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মো. আব্দুল আলীম/এসএসএইচ