কুমিল্লার হোমনায় স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় মাঝ নদীতে নৌকা ডুবে দুই স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে আরও এক শিক্ষার্থী।

সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার কানাই সাহা ঘাট সংলগ্ন তিতাস নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় পাশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার চরলহনীয়া গ্রামের মো. গোলাম মোস্তফার মেয়ে সামিয়া আক্তার (১২) ও একই গ্রামের মো. মুসা মিয়ার মেয়ে সামিয়া আক্তার (১৩) নিহত হয়। তারা দুইজনই হোমনা রামকৃষ্ণপুর কামাল স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্কুলে যেতে প্রতিদিন খেয়া নৌকায় করে নদী পারাপার হয় শিক্ষার্থীরা। সোমবার স্কুল ছুটির পর ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী খেয়া নৌকায় নদী পার হয়ে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় নৌকাটি কানাইসাহ ঘাট থেকে ছেড়ে নদীর মাঝামাঝি যেতেই পাশ দিয়ে একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার দ্রুতগতিতে মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুরের উদ্দেশে যায়। ওই ট্রলারে সৃষ্ট ঢেউয়ে খেয়া নৌকাটি হেলেদুলে একদিকে কাঁত হয়ে ডুবে যায়।

এতে মুহূর্তেই নৌকায় থাকা সব শিক্ষার্থীরা নদীতে পড়ে যায়। তাদের মধ্যে তিন শিক্ষার্থী পানিতে ডুবে গেলে ঘাটে থাকা স্থানীয় লোকজন এবং সাঁতার জানা অন্য শিক্ষার্থীরা তাদের মধ্যে একজনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে। তবে বাকি দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয় না। পরে স্থানীয়রা নদীতে খোঁজাখুঁজি করে প্রায় এক ঘণ্টা পর তলিয়ে যাওয়া সামিয়া নামে ওই দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেন। এরপর তাদের হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক দুইজনকেই মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া আহত অপর শিক্ষার্থীকে সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ওসি কামাল হোসেন বলেন, নিহতদের পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় আইনি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ওই শিক্ষার্থীদের স্বজনরা তাদের মরদেহ নিয়ে গেছেন।

আরিফ আজগর/এফআরএস