গোলাম মহীউদ্দীন ও আবদুস সালাম

মানিকগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও মারধরের ঘটনার প্রায় দেড় মাস পর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালামসহ ২০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে।
 
গতকাল রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) জেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. আজাদ হোসেন খান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ২০ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার সরকার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান, কাজী এনায়েত হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সিফাত কোরাইশী ওরফে সুমন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক খান, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক ওরফে রাজা প্রমুখ। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই সকালে আসামিরা পিস্তল, শটগান, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা করার উদ্দেশ্যে মানিকগঞ্জ খালপাড় মোড়ে জড়ো হতে থাকেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়ো হন। সেখান থেকে মামলার বাদী মো. আজাদ হোসেন খান বিএনপির কার্যালয়ে যাওয়ার সময় আসামি কাজী এনায়েত হোসেনের নির্দেশে আসামি সিফাত কোরাইশী, জুয়েল ও ইমন তার গতি রোধ করেন। এ সময় অন্য আসামিদের মদদে সিফাত কোরাইশী তার হাতে থাকা শটগান দিয়ে বাদী আজাদ হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করেন। কিন্তু গুলি বের না হওয়ায় অপর আসামির হাতে থাকা কাঠের বাটাম নিয়ে সিফাত কোরাইশী বাদীকে এলোপাতাড়ি পেটান। অন্য আসামিরা তাদের হাতে থাকা বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র এবং রামদা, ছোরা ও লোহার রড নিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর একযোগে হামলা করেন। এ সময় গুলিতে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রেজাউর রহমান খান ওরফে সজীব গুরুতর আহত হন।

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বপন কুমার সরকার বলেন, মামলাটির তদন্ত শুরু হয়েছে। মামলার আসামিরা সকলেই পলাতক রয়েছে। তবে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। 

সোহেল হোসেন/আরএআর