নাটোরের লালপুরে শ্যালিকাকে (১৪) ধর্ষণের দায়ে জাহেদুল ইসলাম জারেদ (৩২) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে জারেদকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত জারেদ লালপুর উপজেলার আব্দুলপুর পূর্বপাড়া এলাকার মজিদ প্রামাণিকের ছেলে।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আনিছুর রহমান জানান, ২০০৬ সালে জেলার আব্দুলপুর পূর্বপাড়া গ্রামের জাহেদুল ইসলাম জারেদের একই উপজেলার সুন্দরগাড়া গ্রামে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতে আসার-যাওয়ার একপর্যায়ে শ্যালিকার ওপর কুনজর পড়ে তার। এমনকি বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে শ্যালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন জারেদ। অবৈধ শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা। পরবর্তীকালে ২০২১ সালের ১৫ মার্চ সকাল ১০টার দিকে বাড়ির লোকজনের অনুপস্থিতিতে শ্যালিকাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে কুষ্টিয়া এলাকায় জারেদ তার এক চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন জারেদ। বিষয়টি জানাজানি হলে সেখান থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন স্বজনরা।  

এর পরদিন জারেদকে আসামি করে ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলাটি লালপুর থানার তৎকালীন পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) হীরেন্দ্রনাথ প্রামাণিক তদন্ত শেষে জারেদকে অভিযুক্ত করে একই বছরের ২৯ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।  সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে দোষী সাবস্ত হওয়ায় জারেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।

গোলাম রাব্বানী/আরএআর