মৃত্যুর দুই ঘণ্টা পর দুই দিনের নবজাতক শিশুকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই শিশুর স্বজনেরা।  

মৃত নবজাতকটি যশোর শহরতলী নওপাড়া ইউনিয়নের শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে। হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে তার নাম লেখা হয়েছে বেবি অব শান্তা ইসলাম।

সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, গত ২৭ সেপ্টেম্বর তার স্ত্রী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। নবজাতক জন্মের পরে একটু অসুস্থ বোধ করলে তারা নবজাতকটিকে নিয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালের বিপরীত পাশে কিংস হসপিটালের ডাক্তার পলাশ কুমার পালকে দেখান। এ সময় ওই হাসপাতালের চিকিৎসক শিশুর পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং আল্ট্রাসনো করেন। কিন্তু তেমন কোনো রোগ ধরা না পড়ায় সাধারণ নিউমোনিয়া উল্লেখ করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা নিতে বলেন। রোববার রাতে স্বজনরা নবজাতকটিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। এরপর থেকে এক ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ওই শিশুকে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে আসছিলেন। 

নবজাতকের স্বজনরা আরও অভিযোগ করেন, অনেক অনুরোধের পর ওইদিন রাতে ডাক্তার আফসার আলী এসে নবজাতককে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে যান। ইন্টার্ন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অবহেলার এক পর্যায়ে আজ (সোমবার) ভোর ৫টার দিকে শিশুটির মৃত্যু হয়।  

এদিকে খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শিশু চিকিৎসক আফসার আলী হাসপাতালে যান। নবজাতকের ব্যবস্থাপত্রে ভোর ৫টার দিকে রেফারের বিষয়টি উল্লেখ করেন। একই সাথে স্বজনরা নবজাতককে খুলনায় নিয়ে যেতে অপারগতা প্রকাশ করেন বলে ব্যবস্থাপত্রে উল্লেখ করে চিকিৎসক। এ ছাড়া শিশু চিকিৎসক আফসার আলী রোগীর স্বজনদের সাথে উগ্র আচরণ করেন বলে অভিযোগ করেছেন নবজাতকের স্বজনরা। 

মৃত শিশুর মা শান্তা ইসলামের অভিযোগ শিশুর বয়স বিবেচনা না করে হাই অ্যান্টিবায়োটিকের ডোজ দেওয়ার কারণে শিশুটি মারা যায়। 

তিনি আরও অভিযোগ করেন, নবজাতকের মৃত্যুর পরে চিকিৎসক জীবিত বলে খুলনায় রেফার্ড করেন।  

এ ব্যাপারে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে তত্বাবধায়ক ডা. হারুন-অর রশিদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, নবজাতক শিশুকে মৃত অবস্থায় খুলনায় রেফার করা হয়েছে এমনটি অভিযোগ করছেন নবজাতকের স্বজনরা। এ বিষয়ে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে। 

এ্যান্টনি দাস অপু/এনএফ